ব্যাট হাতে চার নম্বরে সাকিব। কিন্তু ফিরলেন শূন্য রানেই। কয়েক ওভার পর আবার সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা বাবর আজমও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন। রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং ধ্বসের ইঙ্গিত মিলেছিল সেখানেই। কিন্তু দলকে শক্ত হাতে সে বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াকু সংগ্রহের পথে পৌঁছে দিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট হাতে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস।
ইনিংসের নবম ওভারে ক্রিজে এসেছিলেন সোহান। তখন প্রয়োজন ছিল বাবরের সাথে সঙ্গ দিয়ে দলের ইনিংসটাকে বিল্ড আপ করার। সময়ের দাবি মিটিয়ে সোহান সেই কাজটাই করে গিয়েছেন। তবে শুরু রানগতি কখনোই থামতে দেননি। শুরুতে কিছুটা রয়েশয়ে খেললেও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ছাপ ফেলেন কিছুক্ষণ বাদেই।
ইনিংসের ১২তম ওভারে রেজাউর রহমান রাজার করা প্রথম বলটাই সীমানা ছাড়া করেন সোহান। ওই ওভারেই আরো দুটি চার মারেন তিনি। বাবর ফিরে যাওয়ায় ইনিংস সুসংহত করার দায়িত্ব পড়েছিল সোহানের কাঁধেই। আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে সেই কাজটিই দারুণ ভাবে করেছেন রংপুর অধিনায়ক।
ওমরজাইয়ের সাথে ৩১ আর নবীর সাথে ২৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। আর এতেই লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় রংপুর। তবে ইনিংসের শেষদিকে ফিফটি মিসের আক্ষেপে পুড়েছেন সোহান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে ফিরে যান এ ব্যাটার। যে ইনিংস খেলার পথে ৫ টি চার ও ১ টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
বরাবরই ঘরোয়া ক্রিকেট পারফর্ম করা সোহান কখনোই সেভাবে লাইমলাইটে থাকেন না। ব্যাটিং টেকনিকে তাঁর শত ফাঁকফোকরই বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু এত সীমাবদ্ধতা নিয়েও তিনি নিজের কাজটা ঠিকই করে যান। রংপুর রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো। এ সময়কালে দলকে সামনে থেকে টেনেছেন বেশ ক’বার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সোহান নামটাই যেন এক আন্ডাররেটেড পারফর্মারের প্রতিচ্ছবি।