Social Media

Light
Dark

পাকিস্তানের পরিকল্পনায় বাংলাদেশ সফল

চারজন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু টস পরাজয় পাকিস্তানকে বিপাকে ফেলে দেয়। শান মাসুদের দল প্রথম সেশনে হারিয়েছে ৩টি মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। উইকেটের ঘাসের সহয়তা যথাযথভাবেই নিয়েছে হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা।

নিজেদের পাতা ফাঁদে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তান। বৃষ্টির বাগড়ায় রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম সেশন মাঠেই গড়ায়নি। দ্বিতীয় সেশনে পিন্ডির সবুজ উইকেটের ফায়দাটা পুরোপুরিই নিয়েছে বাংলাদেশের পেসাররা। যে কৌশলে বাংলাদেশকে খাবি খাওয়ানোর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানের, সে কৌশলে টাইগাররা সফল।

চারজন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু টস পরাজয় পাকিস্তানকে বিপাকে ফেলে দেয়। শান মাসুদের দল প্রথম সেশনে হারিয়েছে ৩টি মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। উইকেটের ঘাসের সহয়তা যথাযথভাবেই নিয়েছে হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা।

শুরুটা হয় হাসান মাহমুদের হাত ধরে। তবে সে শুরুতে হাসানের কৃতিত্বের চাইতেও অধিক বাহবা জাকির হাসানের প্রাপ্য। দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা জাকির প্রায় অসম্ভব একটা ক্যাচ তালু-বন্দী করেন। হাসানের ফুলার লেন্থের বলে ড্রাইভ খেলার লোভ সামলাতে পারেননি আবদুল্লাহ শফিক।

বল গালি অঞ্চল দিয়ে বেড়িয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু উড়ন্ত জাকির তেমনটি হতে দেননি। তিন রান তুলতেই পাকিস্তানের একটি উইকেটের পতন ঘটে। এরপর দৃশ্যপটে হাজির হন শরিফুল ইসলাম। পাক অধিনায়ক শান মাসুদের উইকেট তুলে নেন তিনি। শান অবশ্য বেশ নাখোশ ছিলেন। তার ধারণা ছিল বল ছুঁয়েছিল প্যাড।

আম্পায়ারও তাই ভেবেছিলেন। সে কারণে তিনি আউট দেননি। তবে বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে সফল হয়। আল্ট্রাএডজ নিশ্চিত করে যে বল ছুঁয়েছে ব্যাট। আর উইকেটের পেছনে লিটন অতিসাধারণ ক্যাচ ফেলে দেবেন, সেটা ভাবাও বরং অন্যায়। ১৪ রানে নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপরই ক্রিজে আসেন বাবর আজম। বেশিক্ষণ টিকে থাকা হয়নি তার। দুই বল খেলেই শরিফুলের উইকেটে পরিণত হন বাবর। এক প্রকার আত্মঘাতী এক শট খেলে আউট হন বাবর। লেগ সাইড দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া বলটায় গ্লান্স করতে চাইলেন তিনি। তবে টেকনিক্যাল দুর্বলতার কারণ, বলটার দিক ঠিক করে দিতে ব্যর্থ হন বাবর।

তাতে করে ব্যাটের আলতো খোঁচা লাগে বলে। ঝাঁপিয়ে পড়ে সে বলকে দস্তানায় আটকে ফেলেন লিটন কুমার দাস। ব্যাস তৃতীয় উইকেট নেই ততক্ষণে পাকিস্তানের। তাদের সংগ্রহ তখন মাত্র ১৬ রান। স্রেফ টস পাকিস্তানের পরিকল্পনায় বিশাল আঘাত করে বসে। সেখান থেকে অবশ্য ধীরে ধীরে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে শুরু করেন পাকিস্তানের পরবর্তী ব্যাটাররা।

Share via
Copy link