তবুও ক্যাচ ধরায় সবার সেরা পাকিস্তান

বরাবরই ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে পাকিস্তান দল; বাকি দুই বিভাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও ফিল্ডাররা হতাশ করেন প্রায়ই। তবে এবারের বিশ্বকাপে দেখা মিলেছে ভিন্ন চিত্রের; ফিল্ডিংয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে বাবর আজমের দল। বিশেষ করে ক্যাচিংয়ের ক্ষেত্রে বাকিদের ছাড়িয়ে গিয়েছে তাঁরা।

ক্যাচ এফিসিয়েন্সির হিসেবে ৮৬ শতাংশ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান – যা কি না সবচেয়ে সেরা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৩৭টি ক্যাচের মধ্যে ৩১টি লুফে নিয়েছে দলটি। তাঁদের ফিল্ডিং দক্ষতা এই আসরের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্যাচিং দল হিসেবে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র ছয়টি ক্যাচ মিস হয়েছে, অর্থাৎ এই দিক থেকে অসাধারণ পারফর্ম করেছে রিজওয়ানরা।

অবশ্য ক্যাচ মিস অল্প হলেও সেগুলোর জন্য কড়া মাশুল গুনতে হয়েছে পাকিস্তানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ১৮ রানের মাথায় কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ ছেড়েছিলেন ইমাম উল হক, এই ব্যাটার পরবর্তীতে ১২৩ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচ ব্যাটারদের ওপর ভর করে জিতে ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর রক্ষা হয়নি।

অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নার দশ রানের মাথায় মিড অনে সহজ ক্যাচ দিলেও সেটা লুফে নিতে ব্যর্থ হন উসামা মীর। জীবন পাওয়া ওয়ার্নার সেদিন ১৬৩ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন।

ক্যাচিং দক্ষতার এই তালিকায় দুই নম্বরে আছে ভারত; তাঁরাও ছয়টি ক্যাচ মিস করেছে, তবে তাঁদের মোট ক্যাচের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ৩৩ বার। ভারতের মতই ৮১ শতাংশ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে আরো দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ মাত্র ৭৬ ভাগ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পেরেছে। ‘জায়ান্ট কিলার’ হয়ে ওঠা নেদারল্যান্ডসের ফিল্ডারদের ক্যাচ ধরার হারও প্রায় একই। যদিও তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশ হতাশ করেছে এদিকটায়, ফিল্ডিংয়ে সুখ্যাতি থাকলেও এবার ৭১ ভাগ ক্যাচ ধরতে পেরেছে এই দুইটি দল।

ওশেনিয়া মহাদেশের এই প্রতিনিধির সঙ্গে একই স্থানে অবস্থান করছে ক্রিকেটের নতুন শক্তি আফগানিস্তান। অবশ্য সর্বোপরি পারফরম্যান্সে ঠিকই সবাইকে চমকে দিয়েছে হাসমতউল্লাহ শহীদির দল; তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে স্বপ্নের মত একটা বিশ্বকাপ আসর কাটাচ্ছে তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link