বছর দুয়েক আগেই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তানকে বেছে নিয়েছিল আইসিসি। যদিও সে সময় ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।
তবে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের সিদ্ধান্তেই অটল ছিল। বছর দুয়েক পরে এসে সেই সিদ্ধান্তেরও কোনো বদল ঘটছে না। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পাকিস্তানের মাটিতেই গড়াতে যাচ্ছে। যদিও এখনও বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
কূটনৈতিক বৈরিতায় গত প্রায় ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে কোনো সিরিজ খেলতে যায়নি ভারত। সর্বশেষ এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতের আপত্তিতে তা গড়িয়েছিল হাইব্রিড মডেল পদ্ধতিতে।
যেখানে পাকিস্তানের পাশাপাশি সহ-আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালসহ সেই লঙ্কানদের মাটিতেই সর্বোচ্চ ৯ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মূলত, ভারতের এমন আপত্তির কারণেই ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজনে কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে পাকিস্তান।
অবশ্য পাকিস্তান এখন পর্যন্ত বেশ আশাবাদী। যদিও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে ভারত। সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপের মতো আবারো হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান হাঁটবে কিনা, সেটি নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল শঙ্কা।
পিসিবি অবশ্য জানিয়েছে, পুরো ব্যাপারটাই নিয়ন্ত্রণ করবে আইসিসি। তবে রাজনৈতিক বৈরিতার জেরে পাকিস্তানে আসতে ভারত অসম্মতি দিলে, তাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপের মতোই হাইব্রিড মডেলে হতে পারে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল পাকিস্তান। যা ছিল পাকিস্তানে আয়োজিত সর্বশেষ কোনো আইসিসি ইভেন্ট। এরপর নিরাপত্তা ইস্যুতে ২০০৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু পাকিস্তান থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এরপর ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর ২০১১ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজকের অধিকারও হারায় পাকিস্তান। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলে তাই ৩০ বছরে প্রথম কোনো আইসিসির ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের মাটিতে।