ভারতকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে জয় তুলে নিলো পাকিস্তান। বিশ্বকাপের তেরো বারের দেখায় প্রথম জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ দেখার প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেলো ২০০৯ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুন সূচনা করে দুই পাকিস্তানি ওপেনার। পাওয়ারপ্লেতেই বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে করেন ৪৩ রান। বিনা উইকেটে অনেকটা দেখে শুনেই এগোতে থাকে দুই ওপেনার। দু’জনে মিলে ৪৮ বলে গড়েন পঞ্চাশের জুটি। ধীরে ধীরে দু’জনের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান।
১০ ওভার শেষে স্কোর বিনা উইকেটে ৭২। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ৮০ রান, হাতে ১০ উইকেট। ১৩ তম ওভারেই দলীয় রান একশো পার। বাবর আজম তুলে নেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। আরেকপ্রান্তে অসাধারণ ব্যাটিং করে রিজওয়ানও তুলে নেন ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি। ম্যাচে জয় পাওয়া পাকিস্তানের জন্য তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেষ ৫ ওভারে দরকার মাত্র ৩১ রান। বাকি কাজটা সহজেই করে ফেলেন দুই ব্যাটার।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদির তাণ্ডবে মাত্র ৬ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। রোহিত শর্মা ফেরেন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে! এরপর সুরিয়াকুমার যাদবকে নিয়ে ভীত গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৫ রানের জুটি গড়লেও হাসান আলির বলে ব্যক্তিগত ১১ রানে সুরিয়া ফিরলে চাপে পড়ে ভারত। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভারত। চতুর্থ উইকেটে ঋষাভ পান্তকে নিয়ে জুটি বাঁধেন বিরাট।
ধীরগতিতে এগোলেও দু’জনের ৪০ বলে ৫৩ রানের জুটি দলকে বিপর্যয় কাটিয়ে ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায়। দলীয় ৮৪ রানে ব্যক্তিগত ৩০ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রানে আউট হন পান্ত! তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ইনিংসে বিরাট তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। পাকিস্তানি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাত খুলতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা।
রবীন্দ্র জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৩ রানে। তবে শেষ দিকে আফ্রিদির বলে ধরা পড়েন বিরাটও! ১৯ তম ওভারে শাহীন আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ৪৯ বলে ৫৭ রানে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে ভারত। তবে, সেটা শেষ অবধি জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়নি।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত – ১৫১/৭ (২০ ওভার); বিরাট কোহলি ৫৭(৪৯), পান্ত ৩৯(৩০), জাদেজা ১৩(১৩); আফ্রিদি ৪-০-৩১-৩, হাসান আলী ৪-০-৪৪-২, রউফ ৪-০-২৫-১, শাদাব ৪-০-২২-১
পাকিস্তান – ১৫২/০ (১৭.৫ ওভার); রিজওয়ান ৮১(৫৬)*, ৬৬(৫১)*
ফলাফল: পাকিস্তান ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: শাহীন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)।