পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) জুয়াড়িদের ছায়া পড়েছে, তাই তো সতর্ক অবস্থান নিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যে সব দলের খেলোয়াড় এবং স্টাফদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেন বিশেষ চারজন লোকের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখা না হয়। ইতোমধ্যে এই চারজনের ছবিও সবার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এই চারজনের একজন আবার পাকিস্তানের একটি অঞ্চলের সাবেক কোচ, অন্য তিনজনের মাঝে দুইজন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশী। ক্রিকেটার এবং ম্যানেজম্যান্টের সবাইকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে এদের দেখা মাত্রই যেন অ্যান্টি-করাপশন কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই এখন জুয়াড়িদের আনাগোনা, বিভিন্নভাবে ক্রিকেটারদের প্রলুব্ধ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন তাঁরা। পিএসএলও সেটার ব্যতিক্রম নয়, এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্পট ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত হয়েছিল এই লিগেই।
আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন এন্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) আর পিসিবির তদন্তে সেবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল একাধিক নামীদামী তারকা। শাস্তি স্বরূপ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছিল শারজিল খান, নাসির জামশেদ, মোহাম্মদ ইরফান, খালিদ লতিফদের। এরপর থেকেই ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শঙ্কার জায়গা হল পিসিবি কিন্তু ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর জন্য এবার পুরো হোটেল ভাড়া করেনি। ফলে সাধারণ মানুষের চলাফেরা রয়েছে টিম হোটেলে, ক্রিকেটারদের সাথে তাই ভক্ত সেজে দেখা করাটা তুলনামূলক সহজ হয়ে গিয়েছে। এসব কারণে আবার বিভিন্ন আইন করতে হয়েছে টুর্নামেন্ট আয়োজকদের।
এই যেমন ২৫০০০ রুপি বা তার অধিক মূল্যমানের উপহার কোন ক্রিকেটার বা দল সংশ্লিষ্ট কেউ পেলে সাথে সাথেই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া বাইরে থেকে কোন খাবার অর্ডার করার সুযোগ দেয়া হয়নি কাউকে।