লাতিন ফুটবল মানেই নায়ক সর্বস্ব ফুটবল। মানে সেখানে একজন নেতা থাকবেন, যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সমস্ত পরিকল্পনা। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলে এই চলটা সবচেয়ে বেশি।
তাই তো, এখানে গড়ে উঠতে পারেন একজন পেলে, ম্যারাডোনা কিংবা লিওনেল মেসি। এমনকি নেইমারও যতদিন ছিলেন, ততদিন তাঁকে কেন্দ্র করেই খেলত ব্রাজিল।
তবে, নেইমারকেই এখন ব্রাজিল ফুটবলেরই অতিত বলা যায়। ইনজুরিতে জর্জরিত এই তারকার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার রাস্তাটা খুবই কঠিন। কিন্তু, একজন তারকার জন্য তো আর পাঁচ তারকাখচিত ব্রাজিল দল থেমে থাকতে পারে না।
ব্রাজিল থামেওনি। তবে, সেই নায়কটা হবেন রাফিনহা – কয়েকটা মাস আগে হয়তো এমন ভাবনা তিনি নিজেও ভাবেননি। কিন্ত, পরিশ্রম আর স্বপ্ন সবটাই পাল্টে দিতে পারে।
ধন্যবাদ প্রাপ্য বার্সেলোনার। বার্সেলোনার ছায়াতলে নতুন এক সোনালী সেলেসাও জ্বলজ্বল করছেন ফুটবলের আকাশে। একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়া, ব্রাজিল স্কোয়াডের জায়গা হারানো – সব বাজে সময় উগড়ে ফেলে তিনি এখন ব্রাজিলের আগামী দিনের স্বপ্ন।
তিনি রাফিনহা, বার্সেলোনাকে আজকাল তিনি প্রায় একাই সামলান। অ্যাটাকিং মিডে তিনি এখন অন্যতম বিশ্বসেরা। তিনি আছেন বলেই রবার্ট লেওয়ানডস্কি একের পর এক গোল করে যেতে পারেন।
রাফিনহা কেবল গোল করিয়েই সন্তুষ্ট নন। তিনি নিজেও গোল করতে জানেন প্রবল বেগে। এবার সেই ফর্মটা তিনি নিয়ে আসলেন ব্রাজিল দলেও।
পেরুর বিপক্ষে জোড়া গোল করলেন পেনাল্টি থেকে। পেরুর বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতে যায় ব্রাজিল দল। বার্সেলোনার পর এবার ব্রাজিল দলেও নেতা বনে যাচ্ছেন রাফিনহা।
তাঁর জাদুর কাঠির সোনার স্পর্শেই বদলে যেতে শুরু করেছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের লড়াইয়ে ফিরতে শুরু করেছে কক্ষপথে। এবার কেবল ভবিষ্যতের স্বপ্ন আঁকার পালা!