একদিন সত্যিই রশিদ খান, ইমরান খান হয়ে উঠবেন!

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় কিংবা তার থেকেও বড়। এই কথার উপর যথাযথ আমল করেছেন রশিদ খান। ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি স্বপ্ন দেখেছেন আকাশ ছোঁয়ার। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। এখনও শিরোপা এসে ধরা দেয়নি অবশ্য, কিন্তু সময় যে এখনও যায়নি ফুরিয়ে।

কেউ কেউ তো রশিদ খানকে ফেলছেন কিংবদন্তিদের কাতারে। তিনি অবশ্যই কিংবদন্তি। ধ্বসে পড়া দেয়ালের ফাঁক গলে দিনের আলোর অন্বেষণ করেছে সকলে। সেই আলোকে রঙিন করে তুলেছেন রশিদ খান। গোটা বিশ্বে বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন আফগান ক্রিকেটের।

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। তাতে করে ইমরান খানের সাথেও কেউ কেউ উচ্চারণ করছেন তার নাম। তবে আদতে কি রশিদ সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছেন?

উত্তরটা অবশ্য সহজ। ইমরান খানের ধারেকাছেও এখনও পৌঁছাতে পারেননি রশিদ খান। সে উচ্চতায় পৌঁছাতে রশিদকে পোড়াতে হবে বহু কাঠখড়। কিন্তু একটা দিক থেকে প্রায় ইমরান খানের সমতুল্য হয়ে উঠেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান চরিত্রে পরিণত হয়েছেন রশিদ খান। যদিও এখন অবধি সফলতার বিশেষ কোন চিত্র অংকন করতে পারেননি।
তবুও সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে রশিদ খানের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। তিনি আফগানিস্তানের গণমানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। নতুন দিনের পথে এগিয়ে যাওয়া জনপদের ছোট্ট শিশুর রোল মডেল হয়ে উঠেছেন রশিদ খান। সেটাও বা কম কিসে!

তবে ক্রিকেটীয় যাত্রায় ইমরান খানের থেকে ঢের পিছিয়ে আছেন এখনও রশিদ। তার যে এখনও অনেক কিছু জেতা বাকি। অবশ্য রশিদের দলে একজন ওয়াসিম আকরাম নেই, জাভেদ মিঁয়াদাদ নেই। তবে ফজল হক ফারুকি, রহমানুল্লাহ গুরবাজরা চেষ্টা চালাচ্ছেন বটে।

একদিন হয়ত দলগতভাবে সবচেয়ে বড় অর্জনটাও ধরা দেবে রশিদ খানের হাতে। সেদিনের অপেক্ষায় রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা জনপদ। এখন ক্ষত বয়ে বেড়ানো আফগান ভূমি হয়ত অপেক্ষায় আছে সেদিনটার। রশিদ খান সেদিনের কাছে নিয়ে যেতে চাইবে সকল অপেক্ষমান চক্ষুযুগলকে। সেদিন হয়ত ইমরান খানের সাথেই উচ্চারিত হবে রশিদ খানের নাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link