কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে নেয়ার পর পূর্ণতা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের দ্বিতীয় গ্যালাকটিকো যুগ; প্রতিটা পজিশনে বিশ্বসেরা ফুটবলারদের নিয়ে একাদশ সাজানোর বিলাসিতার সুযোগ হয়েছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির। কিন্তু তারকার পরিপূর্ণ দলটাকেই কি না মাটিতে নামিয়ে আনলো পুঁচকে মায়োর্কা; ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে তাঁরা।
মায়োর্কা ভাগ্যের জোরে ড্র করেছে এমনটা ভাবার কোন সুযোগ নেই অবশ্য; রিয়ালের উপরেই আধিপত্য দেখিয়েছে তাঁরা। এমনকি গোলের সম্ভাবনা তৈরির ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছিল অর্ধ পরিচিত ক্লাবটি। তাছাড়া তাঁদের রক্ষণভাগ যেভাবে পরিকল্পনা করে ভিনিসিয়াসদের খোলস বন্দী করে রেখেছ সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
লিগের প্রথম ম্যাচ, ৪-৩-৩ ছকে পূর্ণ শক্তির একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। রদ্রিগো, ভিনি আর এমবাপ্পের ত্রিফলার ঠিক পিছনে ছিলেন জুড বেলিংহ্যাম আর ফেদে ভালভার্দে। এছাড়া ফোর ম্যান ব্যাকলাইনের সাথে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার শুয়েমেনিও ছিলেন রক্ষণভাগের দায়িত্বে। অন্যদিকে স্বাগতিকরা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলেছে এদিন।
শুরুটা অবশ্য ভালোভাবেই করেছিল অল হোয়াইটরা। ভিনিসিয়াসের ব্যাক হিলের সুবাদে ডি বক্সের কাছেই বল পেয়ে যান রদ্রিগো, এরপর কাটব্যাক করে বাঁকানো শট এবং গোল! প্রথমার্ধের বাকি সময় দুই দলই একাধিক সুযোগ পেয়েছিল স্কোরকার্ডে পরিবর্তন আনার, কিন্তু ১-০ ব্যবধান নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে বিরতি থেকে ফিরেই দলকে সমতা এনে দেন ভেদাত মুরিকি। কর্নার থেকে দুর্ধর্ষ এক হেডারে পরাস্ত করেন থিবো কোর্তোয়াকে। রিয়াল মাদ্রিদ সেট পিসে দুর্বল, সেটাই যেন আরেকবার মনে করালেন তিনি। শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত রিয়াল অবশ্য চেষ্টার কমতি রাখেনি; বেলিংহ্যাম তো গোলবারের দেখাও পেয়ে গিয়েছেন বটে। যদিও কাউন্টার অ্যাটাকে মায়োর্কা বারবার পরীক্ষা নিয়েছে রুডিগারদের।
সবমিলিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছে রিয়াল মাদ্রিদ; পাঁড় ভক্তেরও বোধহয় সেটা বলতে দ্বিধা হবে না। কিন্তু এই হোঁচটটা বোধহয় প্রয়োজন ছিল। এখন থেকে নিশ্চয়ই আরো সতর্ক হয়ে মাঠে নামবে দলটা, আরো বেশি নিখুঁত পরিকল্পনা করবে ম্যানেজম্যান্ট।