মিরপুরের এই উইকেট যেন ঠিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রেসিপি মেনে বানানো। উইকেট ঠিক মিরপুরের চিরায়ত মন্থর গতির না হলেও ঠিক স্পোর্টিং উইকেট নয়। বল আসছে থেমে থেমে। এখানে টার্ন আছে, আছে বাউন্স। এখানে রান করতে হলে সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে হবে।
এমন উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি সেই কাজটাই এই উইকেটে করে গেলেন যেটা তিনি সবচেয়ে ভাল পারেন। যখন উইকেটে আসেন, তখন বাংলাদেশের ওপর আকাশ সমান চাপ।
মোটে ১৫ রান তুলতে না তুলতেই সাজঘরে চলে গেছেন প্রথম তিন ব্যাটার। সেখানে উইকেটে এসে প্রথমটা ডট দিলেও পরের তিনটা ডেলিভারি থেকে তিনটা বাউন্ডারি আদায় করে নিলেন রিয়াদ। বাকিটা সময় ঠিক এই ফর্মটাকেই যেন টেনে নিয়ে গেলেন।
পেলেন টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সাথৈ মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিবের সাথে মিলে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যে লড়াই করার পুঁজি পায় তাঁর প্রায় পুরোটাই এই রিয়াদের জন্য। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই রিয়াদ এই কাজটা করে গেছেন। এখন ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসেও করে যাচ্ছেন আপন মনে।
শেষ পর্যন্ত ৪৪ বল খেলে করেন ৫৪ রান। টি-টোয়েন্টির মেজাজে হয়তো এই স্ট্রাইক রেট যথেষ্ট নয়, তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাকে কার্যকর বলতেই হচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে রিয়াদকে দলে নেওয়া কিংবা না নেওয়া নিয়ে যে একটা সন্দেহে ছিল – এবার অন্তত সেটা হচ্ছে না। মন্দের ভাল নয়, বরং নিজের সামর্থ্য ও যোগ্যতার বলেই রিয়াদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবেন বাংলাদেশের স্বপ্নের সারথী হয়ে।