রক্ষণের খেলোয়াড়রা তারকা খ্যাতি তেমন পান না বললেই চলে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে নিয়ে আলোচনার ঝড় হয় না, ট্রান্সফার মার্কেটে হইচই হয় না। রদ্রিকে ঘিরেও ব্যালন ডি’অরের আগে আগ্রহ ছিল সামান্যই। স্পেনের সেই রদ্রিই পাশার দান পাল্টে দিলেন।
জিতে গেলেন ব্যালন ডি’অরের বিবেচনায় বর্ষসেরা ফুটবলের পুরস্কার। প্যারিসের থিয়েটার দো শাতলেতে ভিনিসিয়াসের সাথে ফুটবল বীরত্বের সেরা ও সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতীকে নাম লেখালেন এই স্প্যানিশ। রচনা করলেন নতুন ইতিহাস।
আলোচনায় এগিয়ে ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়রও। তাঁকে ঘিরেই ছিল সকল আয়োজন। অধিকাংশ ফুটবল পণ্ডিতের বিবেচনাতে এগিয়েও ছিলেন ব্রাজিলিয়া ফরোয়ার্ডই। কিন্তু, শেষ হিসাব নিকাশে পাল্লা ভারি হল রদ্রিরই।
স্পেন ও ম্যানসিটির হয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন রদ্রি। সব মিলিয়ে তিনি গেল মৌসুমে ম্যাচ খেলেছেন ৬৩ টি। গোল ১২ টি, গোলে সহায়তা ১৬টি। গোল প্রতি গুরুত্বপূর্ণ পাস ১.৬৭।
ম্যাচগুলোতে বড় সুযোগ তৈরি করেছেন ১১টি। অ্যাসিস্ট-সহ মোট ১৭ টা গোলে তিনি রেখেছেন সরাসরি ভূমিকা। শিরোপা জিতেছেন চারটি—স্পেনের হয়ে ইউরো আর সিটির জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ।
ইউরোর প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবার সব জল্পনা উড়িয়ে দিতে জিতে নিলেন ব্যালন ডি’ অর। ভিনিসিয়াসের চেয়ে রদ্রি যোগ্যতর দাবিদার কি না? – সে নিয়ে প্রশ্ন হয়তো তোলা যায় – তবে, এই মুহূর্তে রদ্রির গুণকীর্তন করতে দোষের কিছু নেই।