ধারাবাহিক রোহিতই ভারতের স্বস্তি

এই টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচ খেলেও আগে ব্যাট করার সুযোগ পায়নি ভারত। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে সেই সুযোগ মিলেছিল, আর তাতেই যেন ধাক্কা খেয়েছে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। ওপেনার শুভমান গিল ফিরেছেন এক অঙ্কে, বিরাট কোহলি তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি; আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ারও ব্যর্থ হয়েছেন।

সবমিলিয়ে ৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা; শঙ্কার মেঘ তখন জমা হয়েছিল আকাশে। কিন্তু যেখানে রোহিত শর্মা আছেন সেখানে দুশ্চিন্তা করা বোধহয় অহেতুক – অন্য অনেক দিনের মত দায়িত্ব আরো একবার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। ইংলিশ পেসারদের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দলকে এনেছেন নিরাপদ স্থানে।

১০১ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ১০ চার আর তিন ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে ভর করে সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে রোহিতের এমন পারফরম্যান্স তাঁর সামর্থ্যের কথা আরো একবার মনে করিয়ে দিয়েছে।

শুরুটা করেছিলেন রয়ে সয়ে, ডেভিড উইলির প্রথম ওভারে কোন রান নেননি এই ওপেনার। কিন্তু উইলির পরের ওভারেই এক ছয় আর দুই চার হাঁকিয়ে ঘোষণা দেন নিজের আগমণী বার্তা।

অবশ্য আরেক প্রান্তে উইকেটের ধ্বস নামায় বাধ্য হয়ে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হয় তাঁকে। তবে রানের চাকা থেমে থাকতে দেননি; তাতেই ৬৬ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি, আর এই ফিফটি করার পথে ছুঁয়ে ফেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮০০০ রানের মাইলফলক।

হাফসেঞ্চুরি করেই থেমে যাননি রোহিত; জানতেন কাজ শেষ হয়ে যায়নি। তাই তো ছুটে চলেছেন আরো বড় ইনিংসের দিকে; শেষমেশ অবশ্য থামতে হয়েছে তিন অঙ্কের আগেই। ৮৭ রান করে আদিল রশিদের বলে ফিল্ডারের তালুবন্দি হন তিনি। ১৩ রানের আক্ষেপ আছে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়ে বেশি আক্ষেপ বোধহয় ভারতকে আরো একটু ভাল জায়গায় এনে দিতে না পারার।

ঘরের মাঠে ভারতকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই ডানহাতি। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি; ২০১১ সালের পর আরো একবার রূপকথার সাক্ষী হতে হলে এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে তাঁকে; তবে অধিনায়কেট সাথে সাথে বাকি ব্যাটারদেরও এগিয়ে আসতে হবে, তা নাহলে সম্ভব হবে না বিশ্বজয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link