রেকর্ড গড়ে ব্যর্থ রনি

৩২ বছর বয়সে ওয়ানডে অভিষেক হল রনি তালুকদারের। ২৬.৫০ গড়, আর তিনটি সেঞ্চুরি – ১৪ বছরের লম্বা লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ার। এমন ‘হতশ্রী’ পরিসংখ্যান তাঁকে ওয়ানডে ক্রিকেটে কতদিন টিকতে দেবে – সেটা প্রশ্ন বিদ্ধ – তবে অভিষেক হওয়ার সাথে সাথেই একটা রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেক হল তাঁর। আগের দু’জন হলেন জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ ও রকিবুল হাসান। দু’জনেরই অভিষেক ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায়।

সেটা আবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই অভিষেক ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ খেলতে নামার সময় ফাস্ট বোলার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহর বয়স ছিল ৩৬ বছর। আর রকিবুল হাসানের বয়স ছিল ৩৩ বছর। অন্যদিকে, ৩২ বছর বয়সে রনিকে ওয়ানডের টুপি পরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।

রকিবুল হাসান সেদিন ওপেনিংয়ে নেমে করেন পাঁচ রান। এবার রনি তালুকদারও ওপেন করতে নামেন, সঙ্গী ছিলেন যথারীতি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরুটা ছিল ভয়াবহ। রান করতে গিয়ে ধুঁকতে থাকেন। উইকেটের পেছনে মার্ক অ্যডায়ারের বলে আউট হওয়ার আগে করেন রকিবুলের চেয়ে এক রান কম। চারটি রান করতে গিয়ে খেলেন ১৪ টি বল।

এমনিতে সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে না থাকলে হয়তো, একাদশে এতগুলো পরিবর্তন আসে না। বাধ্য হয়েই একাদশে নেওয়া হয় রনিকে। তাঁকে জায়গা দিতে ওপেনিং পজিশন থেকে সরে যান স্বয়ং লিটন দাসও।

ইনিংসের শুরুতে এলোমেলো বোলিং করেন দুই আইরিশ মার্ক অ্যাডায়ার ও জশ লিটল। তবে, এর চেয়েও বেশি এলোমেলো ছিলেন রনি তালুকদার। কোনোক্রমে বড় শট খেলে রানের খাতা খুলতে মরিয়া ছিলেন তিনি। তবে, সেটা পেয়ে যাওয়ার পরের বলেই তিনি সাজঘরে।

রনির ফুটওয়ার্কের ঘাটতি কিংবা শটের সংকট এই ১৪ টা বলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওয়ানডে অভিষেকের আগে সাতটা টি-টোয়েন্টি খেলেন রনি। সেখানে, তাঁর ভয়ডরহীন ব্যাটিং ছিল প্রশংসিত। তবে, ওয়ানডেতে শুরুতেই হলেন সমালোচিত। বয়সের রেকর্ড গড়ে পাওয়া অভিষেকের দিনটা স্মরণীয় করে রাখা হল না তাঁর। দিনটা ভুলেই যেতে চাইবেন তিনি।

বোঝাই যাচ্ছে, কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সমর্থন আছে তাঁর প্রতি। তবে, পারফরম্যান্স না করতে পারলে সেই সমর্থন কতদিন থাকবে কে জানে!

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link