টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরো অনেক কিছুই হয়তো দিতে পারতেন দানিশ কানেরিয়া। তবে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে স্পট ফিক্সিং এর সাথে জড়িয়ে ক্যারিয়ারটা থেমে যায়। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাঁকে ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ করে দেয়। ফলে ২০১০ সালেই থেমে যায় তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
তবে এখন আবার ক্রিকেটে ফিরতে চান এই স্পিনার। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে কাজ করতে চান কোচ হিসেবে। তাই ক্রিকেটে ফেরার জন্য সিন্ধ হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন দানিশ কানেরিয়া। পাকিস্তানের একটি টি-টোয়েন্টি লিগে কোচ হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এই আদালত তাঁর আপিল নাকোচ করে দেয়।
ওদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি ইসিবি তাঁর নিষেধাজ্ঞা না উঠালে তাঁরা কোনভাবেই কানেরিয়াকে তাঁদের ক্রিকেট অবকাঠামোতে আনতে পারেনা। ফলে তাঁরা কানেরিয়ার এই পিটিশনের বিপক্ষে আপিল করেছিলেন। রায় দেয়ার পরপ পিসিবির চিগ লিগ্যাল অফিসার তাফাজুল রিজভি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এই কেসটা জিতেছি। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়্যালস ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে ক্লিয়ারেন্স না দিলে আমরা কোনভাবেই তাঁকে সিস্টেমে আনতে পারিনা।’
৪১ বছর বয়সী এই স্পিনার পাকিস্তানের হয়ে মোট ৬১ টি টেস্ট ও ১৮ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এরপর ২০১২ সালে ফিক্সিং এর অভিযোগ এনে ইসিবি তাঁকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। পাকিস্তানের হয়ে খেলা ৬১ টেস্টে তাঁর ঝুলিতে আছে ২৬১ উইকেট। এছাড়া ১৮ ওয়ানডে ম্যাচে আছে ১৫ উইকেট। তাঁর বিরুদ্ধে ফিক্সিং এর অভিযোগ আনলেও তিনি সবসময় বলে এসেছেন ফিক্সারদের সাথে বসলেও তিনি কখনো সরাসরি স্পট ফিক্সিংয়ে জড়াননি।
তবে পাকিস্তানের সিন্ধ হাইকোর্টও বলেছেন একইরকম কথা। তাঁরা রায় দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে। তাঁরাও মনে করেন ইসিবির অনুমতি ছাড়া তাঁরা তাঁকে ক্রিকেটে ফেরা অনুমতি দিতে পারেন না। তবি ইসিবি অনুমতি দিলে তাঁরা এটা নিয়ে বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
ফলে এই চক্র থেকে বের হওয়ার জন্য দানিশ কানেরিয়ার সামনে এখন একটাই পথ খোলা। তিনি এখন ইসিবির কাছে তাঁর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে এখনো কিছু জানাননি এই স্পিনার।
ওদিকে পাকিস্তানের স্পিন ডিপার্টমেন্টের বড় ভরসা হয়ে এসেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে আছে হাজারের বেশি উইকেট। দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন। ২০০৪ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। এরপর ২০০৯ সালে কাউন্টির এক ম্যাচে তাঁর বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিং এর চার্জ আনে ইসিবি। ২০১২ সালে তাঁকে ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।