র‍্যাংকিংয়ে লিটন, এবাদতদের বড় লাফ

টেস্ট ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় এক সময় কাটাচ্ছেন লিটন কুমার দাস। রঙিন পোশাকে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বলে কত কটূ কথাই না শুনতে হয়েছে। প্রশ্ন ছিল ধারবাহিকতা নিয়েও। তবে লাল বলের ক্রিকেটকে লিটন বেঁছে নিয়েছেন সব প্রশ্নের উত্তর দিবেন বলে। শেষ পাঁচ টেস্ট ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াও করেছেন দুইটি সেঞ্চুরি।

টেস্ট ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় এক সময় কাটাচ্ছেন লিটন কুমার দাস। রঙিন পোশাকে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বলে কত কটূ কথাই না শুনতে হয়েছে। প্রশ্ন ছিল ধারবাহিকতা নিয়েও। তবে লাল বলের ক্রিকেটকে লিটন বেঁছে নিয়েছেন সব প্রশ্নের উত্তর দিবেন বলে। শেষ পাঁচ টেস্ট ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়াও করেছেন দুইটি সেঞ্চুরি।

উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বের সেরাদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। লিটনের এই পারফর্মেন্সের প্রভাব পড়েছে আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিংয়েও। আজ আইসিসির প্রকাশ করা টেস্টে র‍্যাংকিংয়ে ১৭ ধাপ উন্নতি করেছেন লিটন দাস। উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫ নম্বর অবস্থানে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেরা ১৫ তে জায়গা করে নিতে পারলেন লিটন।

এর আগে তামিম ইকবাল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলে উঠে এসেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪ নম্বর অবস্থানে। এছাড়া মুশফিক তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ১৬ নম্বরে উঠেছিলেন। এরপর সাকিব ও মুমিনুলের ক্যারিয়ার সেরা অবস্থা যথাক্রমে ১৭ ও ১৮।

এই পাচজন বাদে বাংলাদেশের আর কেউ টেস্ট র‍্যাংকিং এর সেরা বিশে জায়গা করে নিতে পারেননি। ওদিকে লিটন যেভাবে খেলছেন সেক্ষেত্রে তাঁকে নিয়ে আরো বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। এই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হবার সব উপাদানই আছে লিটনের মধ্যে।

ওদিকে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কও মাউন্ট মঙ্গানুইতে খেলেছিলেন ৮৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টে সেভাবে রান করতে না পারলেও র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে টেস্ট অধিনায়কের। আট ধাপ গিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ৩৭ নম্বর অবস্থানে।

ওদিকে বাংলাদেশের আরেক ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও বড় লাফ দিয়েছেন। প্রথম টেস্টে জয়ের ভীত গড়ে দেয়া ইনিংস খেলেছিলেন। সেই একটি হাফ সেঞ্চুরি দিয়েই উন্নতি করেছেন র‍্যাংকিংয়ে। ২১ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ৮৭ নম্বরে।

এছাড়া নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবারই প্রথম কোন ম্যাচ জিততে পারলো বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেশের ক্রিকেটে এক ইতিহাসই সৃষ্টি করেছে মুমিনুল বাহিনী। দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সাফল্য গুলোর একটি হিসেবে ভাবা হচ্ছে এই জয়কে। বাংলাদেশের এই জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ক ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই সদস্য এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও তাঁকে দলে নেয়া নিয়ে ছিল নানারকম সমালোচনা। তবে ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন এই পেসার। এছাড়া প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন আরো একটি উইকেট।

এছাড়া দ্বিতীয় টেস্টেও নিয়েছেন আরো দুই উইকেট। নিউজিল্যান্ডে দারুণ বোলিং করে তিনিও র‍্যাংকিংয়ে ১৭ ধাপ এগিয়েছেন। টেস্ট বোলারদের র‍্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন ৮৮ নম্বর অবস্থানে।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...