এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে আসার পর প্রথম ম্যাচেই নামিবিয়ার কাছে হার। এরপর দুই জয়ে সুপার টুয়েলভে উত্তীর্ণ হয় তারা। তবে সুপার টুয়েলভে তিন ম্যাচে দুই হারে প্রায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে আশার মশাল জ্বালালো শ্রীলঙ্কা। ব্রিসবেনে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারালো শ্রীলঙ্কা।
হারলেই সেমির আশা শেষ এমন সমীকরণ সামনে রেখে মুখোমুখি হয়েছিলো এশিয়ার দুই দেশ। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও উসনাম গণি দারুণ শুরু করেন। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলেন দুই ওপেনার।
তবে এরপরই সপ্তম ওভারের প্রথম বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজ বোল্ড হলে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর উসমান গণি ও ইব্রাহিম জাদরান মিলে দলকে এগিয়ে নেন। দলীয় ৬৮ রানে উসমান গণি ও ৯০ রানে ইব্রাহিম জাদরান আউট হলে শতরানের আগেই তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
১৫তম ওভারে শতরান পূরণ করা আফগানদের সুযোগ ছিলো ১৫০ রান পার করানোর। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে আফগানিস্তান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে বেশ ধীর সূচনা করে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। দলীয় ১২ রানে মুজিব উর রহমানের বলে পাথুম নিশাঙ্কা বোল্ড হয়ে ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর আরেক ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কুশাল মেন্ডিস বেশ ধীর গতির ব্যাটিং করলেও আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি।
লেগস্পিনার রশিদ খানের বলে কুশল মেন্ডিস ২৭ বলে ২৫ করে ফিরে গেলেও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেন। চারিথ আসালাঙ্কার সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে ৫৪ রান যোগ করেন। দলীয় ১০০ রানের মাথায় চারিথ আসালাঙ্কা রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান।
তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৪২ বলে অপরাজিত ৬৬ রান করেন। আফগানিস্তানের রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান দুইটি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তিন নাম্বারে উঠে এলো শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, চার ম্যাচে দুই পয়েন্টে সবার নিচে আফগানিস্তান।