লামিন ইয়ামাল নেই, নেই নিকো উইলিয়ামসও; মিডফিল্ডের কাণ্ডারি রদ্রিও মাঠের বাইরে – সবমিলিয়ে সার্বিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সারির ফুটবলারদের প্রাধান্য দিয়েই একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ ডি লদ ফুয়েন্তে। কিন্তু মাঠের খেলায় সেটা কি আদৌ ফুটে উঠেছে? মোটেই না, বরং সার্বিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে তাঁরা।
দুই প্রতিপক্ষের আগের দেখায় জিততে পারেনি কেউই, সেই ব্যর্থতা এদিন বোধহয় তাঁতিয়ে দিয়েছিল স্প্যানিশদের। কারো একক নৈপুণ্য নয়, এগারোজন প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন; এরপর ঝড় তুলেছেন ঘরের মাঠে। ৩-০ গোলের একতরফা জয় আর ম্যাচের পরিসংখ্যান অন্তত সেই কথাই বলে।
শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের একেবারে প্রথমভাগেই, দুই ডিফেন্ডারের কল্যাণে। মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় মাইকেল ওয়ারজাবালের কর্নার পেদ্রো পেরো মাথা ছুঁইয়ে পাঠিয়ে দেন ফার পোস্টে। মার্কারকে পরাস্ত করে আইমেরিক লাপোর্তে সেই বলটা জালে পাঠান। আরেকটা গোলও হতে পারতো একইভাবে, কিন্তু মাইকেল মেরিনোর হেডার গোলবারে লেগে ফিরে আসায় স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আসেনি।
সমর্থকদের হতাশা আরো বেড়েছে দ্বিতীয়ার্ধে; পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি অধিনায়ক আলভারো মোরাতো, উল্টো বল পাঠিয়েছেন আকাশের দিকে। যদিও সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি, মিনিট দশেক পরে ফ্যাবিয়ান রুইজের পাস থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্ট্রাইকার।
বিপর্যস্ত সার্বিয়ানদের বিপদ আরো বাড়ে পাভলোভিচ লাল কার্ড দেখলে, ডি-বক্সের ঠিক বাইরে লাস্ট ম্যান ট্যাকেল করতে গিয়ে ওয়ারজাবালকে ফেলে দেন তিনি। যদিও লাল কার্ডে দুর্ভোগ শেষ হয়নি, ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল করে অ্যালেক্স বায়না কফিনে তৃতীয় পেরেক ঠুকে দেন।
স্পেনের আধিপত্য অবশ্য গোল সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যায় না। ৬৭ ভাগ বল দখল রেখেছিল তাঁরা, প্রতিপক্ষের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি পাস খেলেছিল। সবমিলিয়ে গোলমুখে মোরাতার দল শট নিয়েছিল ৩০টা বিপরীতে হজম করেছে স্রেফ তিনটা – মূল তারকাদের বাদ দিয়েই এমন একক আধিপত্য ইউরো চ্যাম্পিয়নদের প্রতি সমীহ আরো বাড়িয়ে দেয়।