১৮ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ, আর জাতীয় দলে নতুন করে পা রাখা জাকের আলী অনিক – ভিন্ন দুইটি শুরু এক হয়েছে বীরত্বপূর্ণ ইনিংসে। দু’জনে নিজের শতভাগ দিয়ে লড়াই করেছেন জয়ের জন্য। তবে তাঁদের ট্র্যাজিক হিরো বানিয়ে তিন রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় বলেই হারায় ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকে। তিন নম্বরে সুযোগ পাওয়া কামিন্দু মেন্ডিস অবশ্য ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় থামেন তিনি। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই ব্যাটারের পতন ঘটায় কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তবে কুশল মেন্ডিসের দৃঢ়তায় ক্রমাগত চাপ কাটিয়ে উঠে দলটি।
সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে বোলারদের উপর তান্ডব চালাতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ওপেনার, ততক্ষণে দলীয় রান শতকের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। পনেরোতম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৯ রান করেন তিনি। অবশ্য তাতে রানের গতি কমেনি একটুও, আসালঙ্কা টর্নেডো সৃষ্টি করেন বাইশ গজে।
শেষপর্যন্ত সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬১ রান এবং লঙ্কান অধিনায়কের ২১ বলে ৪৪ রানের ক্যামিওতে ২০৬ রান জমা হয় বোর্ডে। এর মধ্যে শেষ চার ওভারেই এসেছে ৬৪ রান!
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল হতাশাজনকভাবে। তিন বলে কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন দাস, ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়রাও। ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখনই ম্যাচ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল টাইগাররা। তবু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করে গিয়েছেন, আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন।
পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন তরুণ জাকের আলী অনিক। আউট হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ৩১ বলে ৫৪ রান; এরপর জাকের শুরু আরেকটি অসম লড়াই। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে একটা সময় জয়ের অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থেকরা, একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যকে জয় করতে পারেননি এই তরুণ, শেষ ওভারে আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৬৮ রানে। তখনো তিন বলে দশ রান দরকার ছিল, শরিফুল চার মারলেও দুই বলে ছয় রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। ফলে ২০৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।