বুনো উল্লাসে হাতির দল যেমন তান্ডবলীলা সৃষ্টি করে বনে-জঙ্গলে, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তেমনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তান্ডবলীলা চালাচ্ছে হিংস্র হয়ে। একের পর এক ম্যাচ খেলছে আর বোলারদের উপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে দলটির ব্যাটাররা। ঘরের মাঠ কিংবা প্রতিপক্ষের উঠোন কোনও দ্বিধা ছাড়াই নিজেদের ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম দেখাচ্ছে তাঁরা।
সবশেষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান করেছে দলটি। না, হুট করে দুই দল ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। বিশ ওভারেই এমন পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। এর মধ্য দিয়ে আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে তাঁরা, পূর্বের রেকর্ডও অবশ্য তাঁদের দখলে ছিল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭ রান করেছিল এই আসরেই।
ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে শুরু থেকেই রানের নেশায় মেতে উঠেছিলেন দুই ওপেনার। বোলারদের একের পর এক ডেলিভারি বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন দু’জনে। পাওয়ার প্লেতেই স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান জমা করেন তাঁরা; এরপর ফিল্ডারদের সংখ্যা বাউন্ডারিতে বাড়লেও রানের স্রোত কমেনি একটুও, বরং বেড়েছে খানিকটা। বিশেষ করে ট্রাভিস হেড রীতিমতো খুনে মেজাজে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
অভিষেক শর্মা ২২ বলে ৩৪ রান করে ফিরলেও হেড তান্ডব চালিয়ে যান। শেষপর্যন্ত আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ১০২ রান করেন এই অজি তারকা। তাঁর বিদায়ের সময় দলীয় রান পৌঁছে গিয়েছিল ১৬৫ তে, সেখান থেকেই পুনরায় বোলারদের শাসন করতে শুরু করেন আরেক হার্ডহিটার হেনরিখ ক্লাসেন।
এইডেন মার্করামের সঙ্গে প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের জুটিতে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। দলীয় ২৩১ রানে অবশ্য ক্লাসেন ফিরে যান, তবে আবদুল সামাদ যেন রেকর্ড ভাঙার পণ নিয়ে বাইশ গজে নামেন। চারটি চার ও তিন ছয়ের মারে স্রেফ ১০ বলে ৩৭ রান করেন এই তরুণ। তাতেই নিজেদের কীর্তি টপকে নতুন করে ইতিহাস রচনা করতে সক্ষম হয় ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
সবধরনের টি-টোয়েন্টিতে এটি অবশ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড, মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করে নেপাল রয়েছে এ তালিকার শীর্ষে। তবে আইপিএলের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মাইলফলক ঠিকই নিজেদের করে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।