ক্যাচ মিস নিয়ে অভিযোগ নেই!

সবাই মনে করছেন, ক্যাচ মিসেই শেষ হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয় পাওয়ার সম্ভাবনা। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই ক্যাচ মিস নিয়ে আলাদা করে অভিযোগ করছেন না।

প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাজে ভাবে হারের পর হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলো ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তাতেও পরিবর্তন হয়নি সফরকারীদের ভাগ্য। বরং আক্ষেপের গল্প লিখে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের শুরুতেই চেপে ধরে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলো বাংলাদেশের বোলাররা। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে লাথাম ও কনওয়ে ১১৩ রান যোগ করলেও এই জুটি ভাঙ্গার পর আরো ভালো ভাবে ম্যাচে ফিরতে পারতো বাংলাদেশ।

কিন্তু, ক্যাচ মিসের মহড়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। তাসকিনের করা ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পিছনে জিমি নিশামের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। এরপরই ৩৭তম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া কিউই অধিনায়ক টম লাথামের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান। ক্যাচ মিস ও ফিল্ডিং মিসে ঐ তিন ওভারে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ২৯ রান।

মূলত ঐ তিন ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর টম লাথামের সাথে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৭ রান যোগ করে নিশাম যখন ৩০ রান করে আউট হয়ে যান তখন জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। নিশাম আউট হলেও জীবন ফিরে পাওয়া টম লাথাম শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে খেলেন ১১০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বারের মতো জেতার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং মিসের খেসারত দিয়ে এমন ভাবে হারের পর সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন ক্যাচ মিস নিয়ে কোন অভিযোগ নেই তাঁর।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘দেখুন ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস করবেই। আমি জানি এটি ক্রিকেটেরই অংশ এবং আপনিও ক্যাচ মিস করতে পারেন, এটা কখনো কখনো কষ্ট দেয়। আমরা যদি আমাদের ঐ দুটি সুযোগ হাতছাড়া না করতাম, খেলাটা পুরোপুরি ঘুরে যেত। কোন অভিযোগ নেই। কেউই তো আর ইচ্ছে করে ক্যাচ মিস করে না। নিজের অজান্তেই এটি সকলের সঙ্গেই ঘটে।’

সতীর্থদের কাঠগড়ায় দাঁড় না করালেও তামিম মনে করেন এই ম্যাচটা অন্তত জেতা উচিত ছিলো তাদের। ডুনেডিনে ১৩১ রান করার পর আজ ব্যাটসম্যানরা ২৭১ রানের পুঁজি এনে দিলেও অসন্তুষ্ট বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন উন্নতির জন্য নয়; ম্যাচ জয়ের জন্য এসেছেন তাঁরা।

তামিম বলেন, ‘আমাদের এই ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল। বোলাররা সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু আমরা তা ধরে রাখতে পারিনি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা মাঝে মাঝে ম্যাচ জিতি। তাই যখন এমন পরিস্থিতি আসে, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন আমরা প্রতিটি কাজ শতভাগ করতে পারি। ২৭১ রান ভালো স্কোর ছিলো। কিন্তু সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে না পেরে হতাশ হতে হয়েছে’

বাংলাদেশের অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমরা এখানে নিজেদের ক্রিকেটের উন্নতি নয়, ম্যাচ জিততে এসেছি। এর পরের বার যখন সুযোগ আসবে, তখন দুহাতে সেই সুযোগ নিয়ে নিতে হবে। ওয়েলিংটনে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং তাদের আবার চেপে ধরতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link