আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন ঠিকই, তবে টি-টোয়েন্টি খেলাটা ভোলেননি তামিম ইকবাল। চলতি বিপিএলে রীতিমতো রান মেশিনে রূপ নিয়েছেন তিনি, করেছেন চারশতের বেশি রান। কিন্তু তাঁর জন্য এটা নতুন কিছু নয়, এর আগে আরো তিন আসরে চারশতের বেশি রান করেছিলেন।
২০১৬ সালে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলেছিলেন চট্টলার খান সাহেব। সবমিলিয়ে ১৩ ইনিংস ব্যাট করে ৪৭৬ রান করেছিলেন তিনি, হয়েছিলেন টু্র্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। সেবার ছয় ছয়টি হাফসেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে আর ব্যাটিং গড় ছিল ৪৩.২৭!
২০১৯ সালের বিপিএলে আবারো ছন্দময়ী তামিমকে দেখা গিয়েছিল। এই আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সি গায়ে ৪৬৭ রান করেছিলেন তিনি; হয়েছিলেন দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার। তাঁর অপরাজিত ১৪১ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংসে ভর করে সেবার ফাইনালে বাজিমাত করেছিল কুমিল্লা।
পরের আসরেও একই সুরে বোলারদের শাসন করেছিলেন এই ওপেনার। যদিও চার রানের জন্য ৪০০ রান পূর্ণ হয়নি, থেমেছিলেন ৩৯৬ রান করে। অবশ্য দলীয় ব্যর্থতায় গ্রুপ পর্বে বাদ না পড়লে নিশ্চিতভাবেই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন তিনি।
২০২২ সালে আরো ধারাবাহিক হয়ে উঠেছিল তাঁর ব্যাট; মাত্র নয় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই তারকা, তাতেই অর্জনের খাতায় যোগ করেন ৪০৭ রান; আর ব্যাটিং গড় ছিল ৫৮ এর বেশি।
সবশেষ চলতি মৌসুমে ১৪ ইনিংস শেষে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার ৪৫৩ রান করেছেন। সেরা রান সংগ্রাহকের দৌড়ে তরুণ তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে তাঁর, সেই সাথে টুর্নামেন্টসেরা হওয়ার দৌড়েও দু’জনে এগুচ্ছেন সমানতালে।
অবশ্য চার চারবার চারশত রান করলেও কখনো পাঁচশত রানের কীর্তি ছুঁয়ে দেখতে পারেননি তামিম ইকবাল। আরাধ্য সেই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য তাঁর হাতে আছে আর একটি ম্যাচ, ফাইনালের মহারণে দারুণ কিছু করতে পারলেই স্বপ্ন সত্যি হবে – এখন মাত্র ৪৭ রানের অপেক্ষা আর।