অভিমানের সুর জমা হয়েছে তামিমের কণ্ঠে

এসব নোংরামির মধ্যে থাকতে চাননি বলেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। বোর্ডের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘দেখেন আপনাদের(ম্যানেজম্যান্ট) যদি এমন চিন্তা ধারা থাকে তাহলে আমাকে পাঠাইয়েন না। আমি এ নোংরামির মধ্যে থাকতে চাইনা। প্রতিদিন আমাকে নতুন একটা করে জিনিস ফেস করাবেন, আমি এই জিনিসগুলোর সাথে থাকতে চাই না।’

তামিম ইকবালকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম ক্রিকেটাঙ্গন। এরই মাঝে হঠাৎ করেই তামিম নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল বিমানবন্দর ত্যাগ করতেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

আলোচিত এই ভিডিওতে গত কয়েক দিন ধরে চলমান গুজবের সত্যি মিথ্যা জানান তামিম। পাঁচ ম্যাচ খেলবেন বিশ্বকাপে এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনদিনই কাউকে বলিনি পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলব না।’

এই ব্যাটার আরো যোগ করেন, ‘কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তো আমি প্রস্তুত। ফিজিও রিপোর্টে ছিল, ২৬ তারিখের ম্যাচের সিলেকশনের জন্য আমি অ্যাভেইলেবল। কিন্তু, মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট মনে করছিল, আমি যদি রেস্ট নিই, এরপরে ২৭ তারিখ ট্রাভেল করে সেকেন্ড প্র‍্যাকটিস ম্যাচটা খেলি, তাহলে প্রথম ম্যাচের আগে টোটাল ১০ সপ্তাহের রিহ্যাবও হয়ে যাবে, তখন আমি অনেক ভালো অবস্থায় থাকব প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য। রিপোর্টে হুবহু এই কথাগুলোই ছিল। পাঁচ ম্যাচ, দুই ম্যাচের কোনো কথাই হয় নাই।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও তামিমকে না খেলতে বলা হয়েছিল বিসিবির পক্ষ থেকে। আবার বলা হয়েছে সে ম্যাচ খেললে যেন নিজের দিকে ব্যাটিং করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই আত্মসম্মানে লেগেছে তাঁর।

ড্যাশিং ওপেনার বলেন, ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললেন তুমি তো ওয়ার্ল্ড কাপে যাবা, তোমাকে ম্যানেজ করে খেলাইতে হবে, এক কাজ করো, তুমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেইলো না।এরপর আবার উনি বললেন তুমি যদি খেলোও, তাহলে আমরা এইরকম একটা প্ল্যান করতেছি, তোমাকে নিচে ব্যাটিং করাব।’

বোর্ডের এসব কর্মকাণ্ড অত্যন্ত খারাপ লেগেছে খান সাহেবের। অভিযোগের সুরে তিনি জানান, ‘আপনাদের মাথায় রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম। আমি একটা ভালো ইনিংস খেলেছি, হ্যাপি ছিলাম, হঠাৎ করেই আবার এসব ধরনের কথা… আমি বিষয়টা পছন্দ করি নাই। আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করে করে (কাজগুলো করা হচ্ছে) যে, এটা ঠিক হলো, তাহলে এখন নতুন আরেকটা করো।’

এসব নোংরামির মধ্যে থাকতে চাননি বলেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। বোর্ডের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘দেখেন আপনাদের(ম্যানেজম্যান্ট) যদি এমন চিন্তা ধারা থাকে তাহলে আমাকে পাঠাইয়েন না। আমি এ নোংরামির মধ্যে থাকতে চাইনা। প্রতিদিন আমাকে নতুন একটা করে জিনিস ফেস করাবেন, আমি এই জিনিসগুলোর সাথে থাকতে চাই না।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...