তামিমের স্বেচ্ছাচারিতা, হাতুরুসিংহের হার্ডলাইন

একটা খবর বাতাসে ভাসছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাইজুল ইসলামকে ওয়ানডে দলে রাখাটা নাকি ক্যাপ্টেন্স কল। অন্তত বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় সেটা স্পষ্ট। মানে এখানে, নির্বাচক বা টিম ম্যানেজমেন্টের চাইতে বড় প্রভাব ছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ভূমিকায়।

এখন, প্রশ্ন হল – এই ইস্যুতে চান্দিকা হাতুরুসিংহের মানে ‘নতুন রূপে আসা বাংলাদেশের পুরনো কোচের’ ভূমিকাটা কি হবে? হ্যাঁ, এটাও এখানে যোগ করতে হবে – দল নির্বাচনে কিংবা একাদশ গঠনেও নাকি হাতুরু আগের মত এবার হস্তক্ষেপ করবেন না। বিসিবি সভাপতি এবারও সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বারবার।

কিন্তু, এটাও বলেছেন যে হাতুরু ‘কড়া হেডমাস্টার’। এখন শীষ্যকে সঠিক পথে আনার জন্য প্রচলিত ঘরানায় তাঁর কৌশল একটাই – শক্ত হতে হবে। তাই, তামিম ইকবালে বিপক্ষেও হার্ড লাইনেই গেলেন এই কোচ। গেল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটাররা দু’ভাগে ভাগ হয়ে খেলেছেন প্রস্তুতি ম্যাচ।

সেখানে হাতুরুসিংহে বেশ রূদ্রমূর্তিতেই ছিলেন। তামিমের কোটা পদ্ধতিতে দলে জায়গা পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। অধিনায়ক মনে করেন, ওয়ানডেতে নাসুম আহমেদের চেয়ে বেশি কার্যকর হবেন তাইজুল। সেখানে, কোচ এখনই হয়তো কিছু বলছেন না – তবে অন্য কোনো ভাবে হলেও তামিমকে তিনি ‘উচিৎ শিক্ষা’ দেবেন।

সেটা ওই প্রস্তুতি ম্যাচেই বোঝা গেল। তামিম দুই রানে আউট হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। তাকে সোজা পাঠানো হল মিরপুর অ্যাকাডেমির নেটে। মানে মাঠের ভুল ঠিক করে আসতে হবে নেট থেকে। তাতে অবশ্য শেষ অবধি তামিম ও বাংলাদেশ দলেরই লাভ। কিন্তু, এতে করে নিজের অবস্থানটা ঠিকই পরিস্কার করলেন হাতুরুসিংহে।

তবে, এটা ঠিক যে – তামিম ইকবাল ও হাতুরুসিংহের বোঝাপড়া বরাবরই খুব ভাল। গেল বারও বাকি সিনিয়রদের সাথে হাতুরুসিংহের টানাপোড়েনের কথা শোনা গেলেও সেখানে তামিমের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি। বরং দু’জনই পারস্পরিক বোঝাপড়া বজায় রেখে কাজ করেছেন।

তামিম আক্ষরিক অর্থেই অতিমানবীয় ব্যাটিং করেছেন হাতুরুর সময়। হাতুরু চলে যাওয়ার পরও তিনি বারবারই নিজের ব্যাটিংয়ে হাতুরুর অবদানের কথা বলে এসেছেন। এখানে, এবার হাতুরু আসতে না আসতেই পাশার দান পাল্টে যেতে শুরু করেছে।

তবে, বিষয়টা ইতবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা যায়। কারণ, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অন্য যেকোনো ফরম্যাটের চেয়ে ভাল। দলের ফোকাসও এখন এখানেই। ফলে, সেই দলের অধিনায়কের কাছ থেকে কোচ বাড়তি কিছু প্রত্যাশা করবেনই।

আর এসেই ওয়ানডে দল নিয়ে সিরিয়াস হয়ে গেছেন হাতুরুসিংহে। প্রতিটা পজিশন নিয়ে আলাদা ভাবে কাজ করছেন। ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ভিডিও সেশন করছেন। এখাতে নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক বার্তাটাই বেশি। বার্তার ধরণটা অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই পরিস্কার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link