বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয় ব্যাটারদের খেলা। পিচ থেকে শুরু করে মাঠের আকার সবই ব্যাটারদের অনুকূলে। তবে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা গেছে ভিন্নতা। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে ব্যাটারদের উপর চড়াও ছিলেন বোলাররা। বোলিংয়ে তাঁরা নিজেদের একক নৈপুণ্যে জিতিয়েছেন ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় পাওয়ার মধ্যে একটি হয়ে থাকবে তরুণ ফাস্ট বোলার তানজিম হাসান সাকিব। টুর্নামেন্টে অসাধারণ বল করা সাকিব গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে রীতিমতো আগুন ঝড়িয়েছেন। বাংলাদেশের করা মাত্র ১০৬ রানের জবাবে সাকিবের বোলিং তোপে ৮৫ রানেই থামতে হয় নেপালকে।
নিজের চার ওভারে ২১টি ডট বল দেওয়া সাকিব ৪ উইকেট শিকার করতে খরচ করেছেন মাত্র ৭ রান। ফারুকির সাথে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং। পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ বল করে গেলেও বুমরাহের আড়ালেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। পুরো আসরে ৮.৪৬ গড়ে এবং ৪.১৭ ইকোনমিতে বুমরাহ শিকার করেন ১৫ টি উইকেট।
তবে গ্রুপ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে উজ্জ্বল ছিলেন আর্শদীপ। নিজের চার ওভারের স্পেলে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন ৪ উইকেট। তাঁর বোলিং নৈপুণ্যের পর ম্যাচটি সহজেই জিতে যায় ভারত।
উগান্ডার বিপক্ষে নিজের বিধ্বংসী বোলিং দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ফজল হক ফারুকি। আফগান এই সুইং বোলার বিপক্ষ দলের টপ অর্ডার ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন বনে গিয়েছিলেন। উগান্ডার বিরুদ্ধেও নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর স্পেল।
এরপর একে একে ধ্বস নামাতে থাকেন উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপে। তাঁর ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে প্রতিপক্ষের ৫টি উইকেট শিকার করেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেন।
তিনিও নবগত উগান্ডার বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়েন৷ তাঁর অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে বিপক্ষ দলকে মাত্র ৩৯ রানেই আটকে ফেলেন ক্যারিবিয়ানরা। এদিন আকিল নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১১ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন সেই পাঁচ উইকেট।
সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালে যাওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন দলের পেসার এনরিখ নরকিয়া। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত বল করে গেছেন তিনি। তবে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায় গ্রুপ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন প্রোটিয়া এই পেসার। ফলে মাত্র ৭৭ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কান ইনিংস।