আইডল মানেন মাশরাফি মর্তুজাকে, বাংলাদেশের মানুষও তাঁকে ভাবে মাশরাফির যোগ্য উত্তরসূরী। ইনজুরিও বোধহয় ভুল করে মাশরাফি ভেবে ফেলেছে তাঁকে, তাই তো বারবার হানা দেয় তাঁর শরীরে – বলছি তাসকিন আহমেদের কথা, যিনি সাম্প্রতিক বছর গুলোতে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের পেস লিডার, একইসাথে হয়ে উঠেছেন চোটের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা অদম্য এক যোদ্ধা।
সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজেও চোটের কারণে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি এই পেসার। এমনকি শঙ্কা জেগেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়েও। তাঁর কারণে বাধ্য হয়ে দুইদিন পর স্কোয়াড ঘোষণা দিতে হয়েছিল নির্বাচকদের; যদিও শেষটা সুন্দর হয়েছে, বিশ্বকাপের ব্যাপারে ডাক্তারদের ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন আর প্রথমবারের মত জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
চোট পাওয়ার পরে ২০১৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি মাথায় এসেছিল তাসকিনের। সেবার ফিট হয়ে উঠতে না পারায় জায়গা হয়নি দলে, এবারও সেরকম কিছু ঘটতে পারতো। তবে শেষমেশ ভাগ্যের আশীর্বাদ পেয়েছেন তিনি।
তাই তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি এই ডানহাতি। তিনি বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে এসেছিল মাথায়, যখন আমাকে হতাশ হয়ে মিরপুর স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছিল। (সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রসঙ্গে) একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটি সম্মানের বিষয়। এবং আমি সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দলের জন্য সবটুকু দেওয়ার চেষ্টা করব।’
অফ ফর্ম আর ইনজুরির কারণে লম্বা একটা সময় জাতীয় দলের রাডারে ছিলেন না ঢাকা এক্সপ্রেস। এরপর যখন তীব্র সাধনার সুবাদে দলে ফিরে আসেন তখন মূলত লাল-সবুজ জার্সির গুরুত্ব ভালভাবে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন তিনি।
এই তারকা বলেন, ‘আমি যখন দলে ফিরে আসি তখন থেকে আমি এই জায়গাকে অনেক মূল্য দিয়েছি। আমি যখন দেড় বছর দলের বাইরে ছিলাম, তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা কতটা শান্তির।’