আইসিসির বোলারদের র্যাংকিংয়ে ৬০ নম্বরে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ‘বাংলাদেশের পেসাররা পারে না’ এই আপ্তবাক্যকে গুড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেকে এবং দলকে তুলে ধরেছেন। আর পুরষ্কারটাও হাতে নাতে পেয়ে গেছেন। এই এক সিরিজের পারফরম্যান্সে দুই দফা লাফিয়ে ৩৩ নম্বরে উঠে এসেছেন তাসকিন।
আজ প্রকাশিত আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর আছে বেশ কিছু। সাকিব আল হাসান আবার বোলারদের তালিকার সেরা দশে চলে এসেছেন। ১২ নম্বর থেকে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি ৮ নম্বরে আছেন। বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশীদের মধ্যে সবার আগে অবশ্য এখনও মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি আছেন ৭ নম্বরে।
উন্নতি হয়েছে তামিম ইকবাল, লিটন দাসেরও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে দারুণ সফল ছিলেন বাংলাদেশি অধিনায়ক। ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার পুরষ্কার হিসেবে ৪ ধাপ এগিয়ে ২০ নম্বরে এসেছেন তামিম।
লিটন এক ধাপ এগিয়েছেন। সিরিজের শেষ ওয়ানডের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে তিনি ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাংলাদেশী হিসেবে সবার ওপরে এখনও মুশফিকুর রহিম। তিনি আছেন ১৭ নম্বরে।
তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন তাসকিন।
এই সিরিজটা শুরু করেছিলেন ৬০ নম্বর বোলার হিসেবে। প্রথম ওয়ানডেতেই আগুন ঝরা বোলিং করেছেন। তার পুরষ্কার হিসেবে সিরিজ চলা অবস্থায়ই যে র্যাংকিং প্রকাশ পেয়েছিলো, সেখানে ১২ ধাপ এগিয়ে যান তাসকিন। এখানে থেমে থাকেননি।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তাসকিন তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বারের মত পঞ্চম উইকেট। এই পারফরম্যান্স দলকে শেষ ম্যাচে জয় এনে দেয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ সিরিজও জেতে। আর এর পুরষ্কার পেয়েছেন র্যাংকিংয়ে।
সিরিজ শেষে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে আরও ১৫ ধাপ এগিয়ে চলে এসেছেন তিনি ৩৩ নম্বরে। এক সিরিজেই ২৭ ধাপ এগিয়েছেন তাসকিন। এবার এই তালিকায় আরও ওপরের দিকে চলে আসার পালা।
তাসকিন আপাতত অবশ্য ওয়ানডে নিয়ে আর ভাবছেন না। এখন তার সামনে টেস্ট চ্যালেঞ্জ। এই টেস্ট সিরিজে ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি। সে জন্য আইপিএলে খেলার ডাকও প্রত্যাখান করেছেন। এখন দেখার বিষয়, টেস্টে কতোটা জ্বলে উঠতে পারেন এই বাংলাদেশী পেসার।
ওয়ানডে র্যাংকিংকে ছাপিয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে টেস্টের সাফল্য। সেটা হলে তাসকিনের চেয়ে বেশি খুশি কেউ হবেন না।