অস্ট্রেলিয়ার মাটি মানেই যেন তাসকিন আহমেদের সুখস্মৃতি। ২০১৫ সালে এই অস্ট্রেলিয়াতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে নিয়েছিলেন সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট। ৭ বছর বাদে সেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই এবার সীমিত ওভারের বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এই ফাস্ট বোলার।
এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট। এর মধ্যে বাংলাদেশের জেতা দুই ম্যাচেই হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। ভারতের বিপক্ষে উইকেট পাননি। কিন্তু লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলিদের ঠিকই গতি, সুইং দিয়ে আটকে রেখেছিলেন।
সুপার টুয়েলভে ৮ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর দৌড়ে ঠিকই রয়েছেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর তাসকিনই ছিলেন শীর্ষে। কিন্তু পরে সেই জায়গাটা হারিয়েছেন ভারতের বাঁ-হাতি পেসার আর্শদ্বীপ সিংয়ের কাছে। তবে এখন পর্যন্ত একটি জায়গায় তাসকিন ঠিকই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। সেটি হল, এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ডট বল করেছেন তিনি।
তাসকিন এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে বল করেছেন ১৫ ওভার। সেই ৯০ বলের মাঝে তিনি ডট বলই দিয়েছেন ৫৪ টি। অর্থাৎ তাঁর করা মোট ডেলিভারির ৬০ শতাংশই ছিল ডট বল।
তাসকিন আহমেদের পর সবচেয়ে বেশি ডটবল করেছেন ভারতের ফাস্ট বোালার ভূবনেশ্বর কুমার। তাঁর করা ডটবলের সংখ্যা ৫১ টি। আর এরপরে রয়েছেন নেদারল্যান্ডসে পল ভ্যান মেকেরেন। তিনি ডটবল করেছেন ৪৭ টি। ভারতের আরেক পেসার মোহাম্মদ শামি এবারের আসরে ডট বল করেছেন ৪৬ টি আর দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিচ নর্কিয়া ডট বল করেছেন ৪৪ টি।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে রোবার সকাল দশটায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। অবশ্য কাগজে কলমে এই ম্যাচটাকে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ বলার সুযোগ নেই। কারণ খাতা কলমে এখনও টিকে আছে বাংলাদেশের সেমি ফাইনালের ভাগ্য।
তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয় ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের অপেক্ষায় থাকতে হবে টাইগারদের। যেটাতে অতি নাটকীয় কিছুর মঞ্চায়ন না হলে সম্ভব নয়। অবশ্য তাসকিন আগেভাগেই বলে দিয়েছেন, এনিথিং ক্যান হ্যাপেন। এখন পুরো ফোকাসটা শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে।
আর এ ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততে হলে পেস আক্রমণের প্রধান ভরসা তাসকিনকেই পারফর্ম করতে হবে। তাসকিন সেটা নিজেও জানেন, বোঝেনও। শেষটা রাঙানোর দিকে তাই নিশ্চিতভাবেই তাঁর লক্ষ্য থাকবে।