ওয়ানডে বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট। তারপরও, পছন্দের সেই ফরম্যাটেই লম্বা সময় বাদে দেশের মাটিতে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ফলে, নি:সন্দেহে বলা যায় যে – সময়টা ভাল যাচ্ছে না দলটির। তবুও, এই হতাশার মাঝে আলো ছড়িয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে চারটি উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদের নিখুঁত বোলিং নজর কেড়েছে। নতুন বলে তাঁর তাণ্ডব রীতিমত ইংলিশদের জন্যও যেন অনুকরণীয় আদর্শ।
ইংলিশ পেসার মার্ক উড তেমনটাই বললেন, ‘তাসকিন খুবই প্রশংসনীয় পারফর্ম করেছে। আমাদের দলের সবার্ নজর কেড়েছে সে। তার ভালো বোলিংয়ের কথা পুরো দল স্বীকার করেছে।’
তিনি মনে করেন, তাসকিনের বোলিং থেকে শেখার আছে ইংল্যান্ডেরও। বললেন, ‘তাসকিন খুব গতিতে বল করেছে আবার ভালো লেংথে রেখেছে। প্রথম ম্যাচে সেই আমাদের পেসারদের দেখিয়েছে যে কোন জায়গায় আসলে বল করা উচিত। তার পারফরম্যান্স দেখে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। বিশেষ করে আমি , আর্চার-ওকস আলোচনা করেছি।’
তবে, দু’টো ওয়ানডেতেই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিনের সাথে তিনিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলে, ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ত। তাসকিনের সাথে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করতে পারেননি কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজ।
মুস্তাফিজের প্রসঙ্গে মার্ক উড বলেন, ‘ও ভালো জায়গায় বল করে আমাদের চাপে রেখেছে। তার খুব আঁটসাঁট বোলিং করেছে, আবার উইকেটও পেয়েছে। সব ব্যাটাররাও বলেছে, সে খুব ভালো পারফর্ম করেছে। সত্যি বলতে আমি চাই না সে খারাপ করুক। তবে সামনের ম্যাচেও সে ভালো করুক এবং অনেক উইকেট নিক, এটা আমি চাই না।’
জানিয়ে রাখা ভাল, এখন পর্যন্ত ২৩ টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ১৯ টিতেই জিতেছে ইংলিশরা। বাংলাদেশের জয় মাত্র চারটি।
২০১২ সালে সর্বশেষ ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৪ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।