বাংলাদেশ টাইবুর সেকেন্ড হোম!

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপির) ক্রিকেট কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু। এখনো চুক্তি সম্পূর্ণ না হলেও চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে এসে বিকেএসপির দায়িত্ব বুঝে নিবেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

নিয়োগ পাওয়ার পর ডেইলি সানকে টাইবু জানিয়েছেন বিকেএসপির বিশেষজ্ঞ কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মাধ্যমেই প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বাড়ি উল্লেখ করে জিম্বাবুয়ের সাবেক এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন দীর্ঘমেয়াদী কোচিং করানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবটা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মাধ্যমে এসেছিলো। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমার দীর্ঘমেয়াদী কোচিং করানোর ইচ্ছা রয়েছে। আমার জাতীয় পর্যায়ে কোচিং করানোর উচ্চাভিলাষী আশা রয়েছে। যদিও জিম্বাবুয়ের কোচ না, জাতীয় পর্যায়ে যে কোন জায়গাতে এবং এই জাতীয় অনেক টুর্নামেন্ট রয়েছে; যেখানে আমি বিশ্বজুড়ে খেলেছি।’

এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৮ টেস্টে ১৫৪৬ রান, ১৫০ ওয়ানডেতে ৩৩৯৩ রান এবং ১৭ টি-টোয়েন্টিতে ২৫৯ রান সংগ্রহ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অভিষেকের তিন বছর পর ২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলের নেতৃত্বও পান টাইবু; যা ২০১৯ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড ছিল। ২০১৯ সালে এই রেকর্ড ভেঙ্গে দেন রশিদ খান।

জিম্বাবুয়ের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার আগেই তাকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে দিতে চান তিনি। আর এই কাজটা করতে পারলেই নিজকে সুখে মনে হবে তাঁর।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় মানদন্ড গুলো জানি। তাই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে সবার জন্য নিশ্চিত করতে চাই যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার জন্য সে প্রস্তুত রয়েছে। খেলোয়াড় হিসাবে যদি তাদের প্রযুক্তিগত সমস্য থাকে তবে তাদের সব ঠিক করে দেওয়া উচিত। যদি আমি তা পারি তবে আমি একজন সুখি মানুষ হবো। সুতরাং আমি নিশ্চিত করতে চাই তাঁরা জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার আগেই তাঁদের প্রস্তুত করা হয়েছে।’

২০০১ সালে অভিষেকের পর ২০১২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন টাটেন্ডা টাইবু। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া লিগের খেলা চালিয়ে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। টাইবু জানিয়েছেন এই বয়সে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করা কঠিন; তবে তাকে পথ দেখাবে বিকেএসপি।

টাইবু বলেন, ‘অবশ্যই, আমার বয়স এখন ৩৮ বছর, এবং আমি এখনো তরুণ সুতরাং আমি আনন্দিত যে বিকেএসপিতে কোচিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছি। এটি আমাকে আমার ক্যারিয়ারের সঠিক পথ দেখাবে কারণ এই বয়সে কোচিং করানো কঠিন। আমার বয়সের কিছু ক্রিকেটার এখনো খেলছে।’

তবে সব কিছু চূড়ান্ত হলেও টাইবু কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবে এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি। টাইবুর আসার বিষয়ে বিকেসএপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাশীদুল হাসান খেলা ৭১ কে জানিয়েছিলেন করোনার কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর অনুমতি নিতে হচ্ছে তাঁদের। প্রোসেস শেষ হলে চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসার সম্ভবনা রয়েছে টাইবুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link