‘সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ’ একটি শট

প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডির বলটা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য ধীরে ছিল। কিন্তু জাদেজার পজিশনিং দারুণ ছিল। ও বলটাকে চোখের লেভেলে নেয়, তারপর হাঁটু গেড়ে বসে মিড উইকেটের উপর দিয়ে তুলে দেয়।

ইডেন গার্ডেন্স, নন্দন কানন। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সেদিন শ্রেয়াস আইয়ার, রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলি অনেকগুলি শট খেলেছেন। কিন্তু, যে শটটা নিয়ে আমি সবথেকে উত্তেজিত এবং সবথেকে ভালো লেগেছে, সেটি হল রবীন্দ্র জাদেজার স্কোয়াট করে মারা ছয়টা।

প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডির বলটা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য ধীরে ছিল। কিন্তু জাদেজার পজিশনিং দারুণ ছিল। ও বলটাকে চোখের লেভেলে নেয়, তারপর হাঁটু গেড়ে বসে মিড উইকেটের উপর দিয়ে তুলে দেয়।

তুলনা হয় না, তবে জুনিয়র ক্রিকেটে এক সময় চন্দন হেলাকে জোরে বোলারের বিরুদ্ধে এই শট মারতে দেখেছি। মানে তিরিশ বছর পরেও ইডেনের এক প্রান্তে বসে হেলার শটটা মনে থেকে গেছে।

যে বলটা ৮০ কিমি গতিবেগের বেশি আসছে, তার বিরুদ্ধে আড়া ব্যাট চালানোই যায়। কিন্তু সমস্যাটা অন্যত্র, বলটা গায়ে আসছে না। গায়ে এলে ব্যাট চালাবার জায়গাটা তৈরি করা যায় পিভট পায়ের উপর ঘুরে বা কোমর ঘুরিয়ে।

এই বলটাকে চোখের উপরে নিতে হবে, তার ট্র্যাজেক্টরিটাকে অনুমান করতে হবে, তারপর শট মেকিং। জাদেজা, স্লোয়ার ধরেছে, নিচু হয়ে স্কোয়াট করে বলটাকে চোখের উপরে নিয়েছে, তারপর একদম স্যুইট স্পট দিয়ে সপাটে চালিয়েছে।

কিচ্ছু করতে হবে না, একটা টেনিস বল দেওয়ালে একটু জোরে মেরে ফেরত আসা বলে একই শট লাগাবার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার ক্ষমতা নির্বিশেষে, অন্তত: ছয়টা আপনি মিস করেছেন এবং খান তিনেক ঠিক মতো কানেক্ট করতে পারেননি! এবারে বুঝে নিন!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...