বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালকে রাখা হয়নি, এরপর থেকেই সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে নির্বাচক সহ পুরো টিম ম্যানেজম্যান্টকে। শুধু তাই নয়, তামিম ইস্যুতে টুর্নামেন্টের কয়দিন আগে তীব্র ঝড় বয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর দিয়ে। এমনকি সাকিব-তামিম দ্বন্দও প্রকাশ্যে চলে এসেছিল সেই ঝড়ে।
আর এসব কিছু বৈশ্বির আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন দেশের প্রথম দিককার সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল। তাঁর মতে, ড্যাশিং ওপেনারকে বাদ দেয়াটা বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বোর্ডের।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের দিকে তাকান; কেন উইলিয়ামসন আইপিএল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছে। কিন্তু তাঁরা তাঁকে নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে। বাংলাদেশও তামিমের পরিস্থিতি আরেকটু ভিন্ন ভাবে সামলাতে পারতো। সে সতেরো বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, আপনি এমন কারো সাথে এমন আচরণ করতে পারেন না। এটা ভাল কিছু নয়।’
সাবেক এই ব্যাটার আরো যোগ করেন, ‘তিন মাসে আগেও ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশকে দারুণ দল মনে হতো। হঠাৎ করে তামিম ইনজুরিতে পড়লো, মাঠের বাইরে গেলো। যেখানে আমরা সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতাম এখন সেখানে পারফর্মারই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আফগানিস্তানের সমমানের খেলোয়াড়ও আমাদের নেই। মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানদের কথাই ভাবুন যারা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে।’
বর্তমান দলে থাকা তরুণদের নিয়েও কথা বলেছেন আশরাফুল। তাঁদের কাছে এই তারকার প্রত্যাশা একটু বেশিই। তিনি বলেন, ‘আমি যখন নতুন, তখন সবে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে বাংলাদেশ। সেসময় আমাকে প্রতিভা ভাবা হতো, অভিষেকে সেঞ্চুরিও করেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিভাবানের চেয়ে পারফর্মারদের বেশি প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সময় রোল মডেল ছিলেন আমিনুল, হাবিবুল, আকরাম খান। আর এখনকার ক্রিকেটারদের আদর্শ তামিম, সাকিবরা। তাই উদীয়মানদের আরো ভাল করা উচিত।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিভাবে সুযোগ দিতে হবে সেটাও শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন ২০০৫ সালের অজিবধের নায়ক। তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ এ ভাল করলে আপনাকে অ-২১, অ-২৩ কিংবা এ দলে আসতে হবে। এক বা দুইজন অন্যদের চেয়ে বেশ ভাল হলে তাঁদের সরাসরি নেয়া যায় মূল দলে; কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সেটা করা সম্ভব নয়।’