মিস্টার থ্রি সিক্সটি, নামটি শুনলেই চোখের সামনে যে ছবিটি ভেসে ওঠে, তিনি আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স। খেলোয়াড় হিসেবে ২২ গজ কাপিয়ে এবার কোচরূপে আবির্ভাব ঘটানোর ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি। ভারতের প্রধান কোচ হওয়া প্রস্তাব নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই ভারতের ক্রিকেটে ঘটতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। কেননা বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) প্রধান কোচ হওয়ার আবেদন ছেড়েছে। বর্তমান প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে বিশ্বকাপের পর পাওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। তাই বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড়কে পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে নতুন কোনো প্রধান কোচ পাবে ভারত।
এই বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটারের আগ্রহের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার একদমই কোনো ধারণা নেই। তবে আমি মনে করি আমি কোচিং করানো উপভোগ করবো। যেখানে আমার শেখার কিছু থাকে, আমি সেটাই করতে উপভোগ করি। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুই সম্ভব। এগিয়ের যাওয়ার মাধ্যমেই আমি শিখতে পারি।’
যদিও এই মৌসুমে ডি ভিলিয়ার্সের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ভবিষ্যতে এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে দেখা যেতে পারে কোচের ভূমিকায়। তিনি বলেন, ‘কোচ হওয়ার ফলে আমি বেশ কিছু খেলোয়াড় এবং দলের সাথে কাজ করতে পারবো। এখনই প্রধান কোচ হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি না। তবে আমি আগেও বলেছি, ‘কখনোই না বলো না, সময়ের সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর আইকন খেলোয়াড় ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মোট ১৮৪ টি ম্যাচ খেলেছেন। তাই তো ভারতের সাথে তাঁর সম্পর্ক বেশ মজবুতই বলা যায়।
ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তী অধিনায়ক রিকি পন্টিং, চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। তবে পন্টিং ইতিমধ্যেই নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও ছিলেন ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার তালিকায়। তারাও নিজেদেরকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এখন কোচের ভূমিকায় ডি ভিলিয়ার্স কেমন করেন তা দেখার অপেক্ষাতেই আছে তাঁর ভক্তরা। তবে ডি ভিলিয়ার্স ভারতের কোচ হবেন কি হবেন না, সেই প্রশ্ন আপাতত সময়ের কাছেই তোলা থাক।