শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ, চাপটাও তাই আকাশসম। সেই চাপেই কি না ভেঙে পড়লো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটিং লাইনআপ। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সেট হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছেন হৃদয়, লিটনরা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন, তিনি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাঁর দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করেই লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহ করতে পেরেছে দলটি।
মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে এই তরুণ ৩৫ বলে করেছেন ৩৮ রান। দুইটি চার ও দুইটি ছয়ে সাজানো এই ইনিংস সংখ্যাতত্ত্বে মোটেও আহামরি নয়। কিন্তু ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি দলের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণই বটে। তিনি এমন পারফরম্যান্স না করলে দলীয় সংগ্রহ হয়তো ১৫৪ রান হতো না।
এই ডানহাতি যখন ক্রিজে আসেন তখন পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন তিনি; চার্লস আউট হওয়ার পরপরই মঈন আলী ফিরে গেলে পুনরায় হাল ধরতে হয় তাঁকে; জাকের আলিকে নিয়ে সেই কাজটাই করেছেন।
দু’জনের ৩৬ রানের জুটিতে শতরানের গন্ডি পেরুতে সক্ষম হয় লিটনের দল। সেই সাথে মাঝারি মানের সংগ্রহের ভিত তৈরি হয়। যদিও এই ব্যাটারের সামনে সুযোগ ছিল ফাইনাল ম্যাচকে নিজের মত রাঙানোর।
ঠিক যখন রানের গতি বাড়ানোর সময় এসেছিল, যখন হাতে খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন তিনি তখনি আউট হতে হয়েছিল তাঁকে। তা নাহলে নিশ্চিতভাবেই দলকে আরো ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারতেন, একজন সেট ব্যাটার ডেথ ওভারে বাইশ গজে থাকলে কি করতে পারেন সেটা নিশ্চয়ই আলাদা করে বলতে হবে না।
অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে একাদশে এসেছিলেন অঙ্কন। ভরসার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করেছেন নিজের সর্বোচ্চ দিয়েই, সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে লড়াই করেছেন প্রায় একাই। ৩৮ রানের ইনিংসের জন্য প্রশংসা পাবেন না, নিজের কাজ করেছেন কিন্তু কাজটা অসমাপ্ত রেখে যাওয়ার আক্ষেপ থেকে যাবে তাঁর মনে।