দ্য হার্ড-পান্ডিয়া ফোর্স ইজ ব্যাক

ঝা-চকচকে একেকটা শট খেললেন। এঁকেবারে খাঁটি রাঁধুনির পাঁকা হাতে গড়া নিখুঁত পাওয়ার হিটিংয়ের মাখোমাখো তরকারি। যেটা মুখে দিতেই অমৃত। তবে, সেই স্বাদটা ইংলিশ বোলারদের কোনো ভাবে ভাল লাগার কারণ নেই।

তিনি রান পাচ্ছিলেন না বলেই অচল হয়ে গিয়েছিল ভারতের মিডল অর্ডার। তিনি ফিরলেন, ভারতও পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পেল। দ্য ভিনটেজ হার্দিক পান্ডিয়া ইজ ব্যাক। ভারত নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারের মিসিং লিংকটা খুঁজে পেয়েছে অবশেষে।

হার্দিক পান্ডিয়া রান পাচ্ছিলেন না সেটা বলার উপায় নেই। তবে, তিনি ব্যাট চালাচ্ছিলেন বেশ ধীরগতিতে। শেষ ম্যাচেও ৪০ রান করেছিলেন। কিন্তু, সেটা করতে গিয়ে খেলতে হয় ৩৫ টি বল। তাই তো চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সটা ঠিকঠাক দেখাতে পারবেন বলেই তো তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে রাখা। তারপরও কেন পারবেন না হার্দিক? এই প্রশ্নের মিছিল যখন বাড়ছিল – ঠিক সেই মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন পান্ডিয়া, দ্য ক্রাইসিসম্যান।

যখন ক্রিজে আসেন, ভারতের তখন পাঁচ ব্যাটার চলে গেছে সাজঘরে। রান হয়েছে মোটে ৭৯। তাহলে কি আবারও সেই ব্যাটিংয়ে ভারতের অসহায় আত্মসমর্পন? ঠিক তখনই হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট যেন বলে উঠল, ভয় নেই আমি চলে এসেছি। ভয় এখন বরং ইংল্যান্ডকেই পেতে দাও।

সত্যিই তাই হল। ঝা-চকচকে একেকটা শট খেললেন। এঁকেবারে খাঁটি রাঁধুনির পাঁকা হাতে গড়া নিখুঁত পাওয়ার হিটিংয়ের মাখোমাখো তরকারি। যেটা মুখে দিতেই অমৃত। তবে, সেই স্বাদটা ইংলিশ বোলারদের কোনো ভাবে ভাল লাগার কারণ নেই।

৩০ বলের ইনিংসে আটটা বাউন্ডারি, চারটা চার আর চারটা ছক্কা। ৫৩ রানের জমকালো ইনিংসটা বারবার বলতে চাইল, হার্দিক পান্ডিয়া এত সহজে হারান না!

Share via
Copy link