লিটন দাস প্রচণ্ডরকম ধুঁকছেন। ভীষণ ভুগছেন। বারবার খাবি খাচ্ছেন। ছন্দে থাকলে যার ব্যাটিং চোখ ও মনে প্রশান্তি বুলিয়ে দেয়, তার ব্যাটিং দেখা আপাতত যন্ত্রণাদায়ক। একদমই ছন্দে নেই তিনি।
তবুও, তার পরও টানা দুই বলে স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় বলে আবার একই চেষ্টায় যেভাবে উইকেট বিলিয়ে দিলেন। কেমন অবিশ্বাস্য লাগল। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অকল্পনীয় বাজে এক শটে তার আউট দেখে লিখেছিলাম, ‘এরকম কিছু জীবনে আর দেখেছি বলে মনে পড়ে না!’
সেই শটের সঙ্গে আজকের শট, ঢাকা লিগে তার ১০৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস আর এই সিরিজে তার ব্যাটিং ও উইকেটে উপস্থিতি, সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে তিনি ঠিকঠাক অবস্থায় নেই।
ব্যাটসম্যানদের বাজে সময় আসেই। টপ ক্লাস ব্যাটসম্যানদেরও বাজে সময় আসে। খারাপ সময়ে তারা নানারকম অদ্ভুতবাবে আউট হওয়ার পথ বের করে নেন। কিন্তু লিটনকে গত কিছুদিনে যেরকম দেখেছি, এরকম অস্থির, এভাবে নিজেকে হারিয়ে ফেলাটা কেমন অস্বাভাবিক লাগছে।
হতে পারে, লিটনের আরেকটু ব্রেক দরকার। পরের দুই ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমনের সুযোগটা প্রাপ্য। তবে বিশ্বকাপ দলে লিটন নিশ্চিতভাবেই থাকবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটা সমাধান তার নিজের ও কোচিং স্টাফের বের করতে হবে। শুধু স্কিল বা টেকনিক্যাল ব্যাপার নয়, এখানে নিশ্চিতভাবেই সাইকোলজিক্যাল কোনো ইস্যু আছে।
আর হ্যাঁ, আমাদের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়েও অনেক অনেক উন্নতি দরকার এবং দ্রুত দরকার। ৩৩ ইনিংস খেলার পর তার স্ট্রাইক রেট ১১১, গত এক বছরে স্ট্রাইক রেট ১০৯, জিম্বাবুয়ের এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থতা। সবই অশনি সংকেত।
এমন নয় যে একাদশের সবাইকেই ভয়ঙ্কর ঝড়ো বা ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে হবে। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর অবদান রাখার পথ বের করতে হবে। তাই শুধু স্ট্রাইক রেটই নয়, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক হিসেবে শান্তর সামগ্রিক টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানশিপে উন্নতি প্রয়োজন অনেক।
– ফেসবুক থেকে