এখন পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ট্রফি জেতার স্বাদ পায়নি চারটি দল- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লী ক্যাপিটালস, পাঞ্জাব কিংস আর লখনৌ সুপার জায়ান্টস। কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পাশাপাশি এদের আরও এক জায়গায় মিল রয়েছে। সেটি হলো এই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর স্কোয়াডে কোন না কোন সময় ছিলেন মার্কাস স্টোয়িনিস। অর্থাৎ আইপিএলের শিরোপা না পাওয়া চারটি দলের সঙ্গেই জড়িত আছেন তিনি!
২০১৫ সাল থেকে আইপিএলে নিয়মিত খেলছেন এ ক্রিকেটার। অর্থাৎ টানা নয়টি আসরে আলাদা আলাদা চারটি দলের হয়ে খেলেছেন তিনি, তা সত্ত্বেও কোনও ট্রফি জিততে পারেননি; চ্যাম্পিয়নের স্টার লাগানো জার্সি পরা হয়নি তাঁর।
শুধু আইপিএলে নয়, টি-টোয়েন্টি লিগ মানেই দুর্ভাগা অজি তারকা। অনেকটা ফুটবলের হ্যারি কেইনের মতন, যেদিকে তাকান সেদিকেই সাগর শুকিয়ে যায়। নিজের দেয় বিগ ব্যাশ লিগে এখন পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারেননি তিনি। অথচ এরই মধ্যে খেলেছেন মেলবোর্ন স্টারস, পার্থ স্কচার্সের মত শক্তিশালী দলের হয়ে।
মজার ব্যাপার, ২০১৩/১৪ মৌসুম শেষে পার্থকে বিদায় বলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। পরের আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি, এখানেই শেষ নয়। এরপর সবমিলিয়ে পাঁচ পাঁচবার বিবিএলের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিয়েছে তাঁরা; লিগের ইতিহাসে সফলতম দল তাই তাঁদেরকে ভাবা হয়।
এছাড়া ২০২২ সালে ‘দ্য হান্ড্রেড’ লিগে সার্দান ব্রেভ-এর হয়ে খেলেছেন তিনি। আগের আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি, কিন্তু তাঁর অন্তর্ভুক্তির পরেই ব্যর্থতার মুখোমুখি হয় তাঁরা, টুর্নামেন্ট শেষ করে পয়েন্টস টেবিলে সাত নম্বরে থেকে। আবার ২০২৩ সালে আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা হওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছিলেন এ ডানহাতি, সেখানেও শারজাহ ছয় দলের মধ্যে পাঁচ নম্বরে জায়গা পায়।
একই বছর মেজর লিগ ক্রিকেটে সান ফ্রান্সিসকোর শিবিরে যোগ দিলেন স্টোয়িনিস, এবং শারজাহ এর মত ভাগ্য বরণ করতে হয় তাঁদেরকেও। সবশেষ ২০২৪ সালে এসএ টি-টোয়েন্টিতে ডারবান সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে আর ফাইনালে পৌঁছে হেরে বসেছে ডারবান।
এত বছর ধরে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলেও মার্কাস স্টয়নিসের অর্জনের খাতা শূন্য! অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে কমতি নেই তাঁর। রঙিন পোশাকে দুইটি বিশ্বকাপই জিতেছেন তিনি, তবু ফ্রাঞ্চাইজি লিগে তাঁকে ‘অভাগা’ কিংবা অভিশাপ বলতেই হয়।