কত অপেক্ষা একটা ম্যাচের জন্য, কত প্রত্যাশা একটা ম্যাচকে ঘিরে – ভারত আর পাকিস্তানের আকাঙ্খিত লড়াই উপলক্ষে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্বে। এত আগ্রহ উদ্দীপনার বিনিময়ে মাঠের খেলায় রোমাঞ্চ ঢেলে দিতে কোন কৃপণতা করেননি ক্রিকেট বিধাতা। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় সেটা আর পূর্ণতা পেলো কই।
বল হাতে দুর্দান্ত শুরু শাহীন শাহ, নাসিম শাহদের; এরপর হারিস রউফের গতি ঝড়। ধ্বংসস্তুপ থেকে হার্দিক, কিশানের ব্যাটে ভর করে মাথা তুলে দাড়িয়েছিল ভারত। শেষটা আবার পাক পেসারদের দাপুটে প্রদর্শনী – এভাবেই এগিয়েছে পাকিস্তান ভারত ম্যাচের প্রথম ইনিংস।
এটাক, কাউন্টার এটাকে জমে ওঠা ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টি নেমে আসে ইনিংস বিরতিতে। দীর্ঘ সময় বৃষ্টি থামার প্রার্থনা করলেও কাজ হয়নি, বাধ্য হয়েই তাই বাবর, বিরাটদের ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে ম্যাচ অফিসিয়ালদের। তাই তো অতৃপ্তি থেকে গিয়েছে দর্শকদের মনে; বঞ্চিত হয়েছে মনে রাখার মত আরো কিছু ক্রিকেটীয় মুহূর্ত থেকে।
পুরো ম্যাচ খেলতে না পারায় অতৃপ্তি বোধহয় ক্রিকেটারদেরও রয়ে গিয়েছে। সেই অতৃপ্তি মেটানোর সুযোগ অবশ্য আছে সামনেই; সবকিছু ঠিক থাকলে এশিয়া কাপেই দ্বিতীয়বারের মত একে অপরের বিপক্ষে খেলবে ভারত ও পাকিস্তান।
এই ম্যাচে ফলাফল না এলেও স্বস্তির খবর আছে পাকিস্তানের জন্য। এবারের এশিয়া কাপের প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে তাঁরা। অন্যদিকে নেপালকে হারাতে হবে রোহিতদের; যদিও চরম অঘটন না ঘটলে সেই ম্যাচে ভারতের জয় অবধারিত।
আর সেক্ষেত্রে সুপার ফোরে আরো একবার মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী; আরো একবার ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের সঙ্গে দ্বৈরথে নামবে পাকিস্তানের বিধ্বংসী পেস বিভাগ। এছাড়া বাবর আজমদের সঙ্গে জাসপ্রিত বুমরাহ এর লড়াই দেখাও তো বাকি, সেটিও হয়তে দেখা যাবে সেদিন।
এশিয়া কাপেই নয় শুধু, মাস খানেক পরে আবার বিশ্বকাপেও মাঠে গড়াবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ওয়ানডে ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান দল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ভারত তো সবসময়ই ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিপক্ষ। তাই তো মাঠের খেলায় দু’দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এক ভিন্নরকমের বিনোদন এনে দেয়।
গোলাগুলি বিহীন এই পাক-ভারত যুদ্ধের স্বাদ নিতে অনেক দিন থেকেই উদগ্রীব হয়ে ছিল বিশ্বের সব ক্রিকেটপ্রেমী। বৃষ্টির কারণে সেই অপেক্ষা অবশ্য শেষ হয়েও হইলো না, আরো কিছু দিন তাই ধৈর্য ধরতে হচ্ছে তাঁদের।