মেঘমুক্ত আকাশে যেমন একটার পর একটা নক্ষত্র দেখা যায় তেমনি রংপুর রাইডার্সও হয়ে উঠেছে লক্ষত্রযুক্ত রাতের আকাশ। বিদেশি ক্রিকেটারদের ঘাটতির এই সময়েও তাঁদের দলে অভাব নেই বিশ্বসেরা তারকাদের। একজন চলে গেলে তাঁর পরিবর্তে নতুন আরেকজনকে নিয়ে আসছে দলটি, যেন পুরো বিপিএলের মান একাই বাড়িয়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে।
এইতো বাবর আজম, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবীরা প্রায় শুরু থেকে খেললেন নুরুল হাসান সোহানদের সাথে। পারফরমও করেছেন তাঁরা, তবে পিএসএল এবং আন্তর্জাতিক সিরিজ থাকায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের চলে যেতে হচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যে।
কিন্তু টিম রাইডার্সের কোন সমস্যাই নেই তাতে, মুহুর্তের মাঝেই রিপ্লেসমেন্ট খুঁজে নিচ্ছে তাঁরা। আজমতউল্লাহর পরিবর্তে ইতোমধ্যে দলে নিয়েছে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে, বাবরের জায়গায় দেখা যাবে রসি ভ্যান ডার ডুসেনকে। এছাড়া জেমস নিশাম, টম মুরস যুক্ত হয়েছেন তাঁদের শিবিরে।
আবার নিকোলাস পুরান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, পাথিরানার মত পরিচিত মুখদের নিজেদের করে নিয়েছে বসুন্ধরার মালিকানাধীন ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেই সাথে ইমরান তাহির, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড মালানকে স্কোয়াডে ভিড়িয়ে চমক উপহার দিয়েছে তাঁরা।
সবমিলিয়ে ১৭জন খেলোয়াড়কে উড়িয়ে এনেছে রংপুর। অথচ ভিন্ন চিত্র দুই ফ্রাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকা ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের শিবিরে। সম্ভবত চলতি আসরে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে কোন মাথাব্যাথা-ই নেই দল দুইটির। টুর্নামেন্টের শুরুতে যে কয়েকজন বিদেশি তারকার সঙ্গে চুক্তি করেছিল তাঁদের নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাঁরা।
যদিও দুই দলের কারোই নেই মানসম্মত কোন খেলোয়াড়, আবার সায়িম আইয়ুব পিএসএল খেলতে আর রিচার্ড এনগারাভা আইএল টি-টোয়েন্টিতে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তবু সাড়া নেই তাঁদের, নতুন করে কাউকে দলে নিতেই যেন তীব্র অনাগ্রহ।
পয়েন্ট তালিকাতেও তাই পার্থক্য ফুটে উঠেছে নিদারুণ ভাবে। তারকা সমৃদ্ধ রংপুর যেখানে টেবিল টপার হওয়ার দৌড়ে আছে সেখানে সিলেট আর ঢাকা সাত নম্বরে থাকার জন্য লড়াই করছে। ফলে বিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে ভারসাম্যহীনতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও কমে গিয়েছে অনেকাংশে – ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সদিচ্ছা না থাকলে এই সমস্যা আসলে সমাধান হবে না।