আজ ২৩ জুন। এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। খেলাধুলা, স্বাস্থ্য ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দিনটি উদযাপিত হয়।
এই দিনটি উদযাপনের জন্য বিশ্বব্যাপী জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলো বয়স, লিঙ্গ, সামাজিক অবস্থান ও খেলাধুলার সক্ষমতা নির্বিশেষে সকলের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য সুযোগ রাখে। এমনকি কয়েকটি দেশ তাঁদের স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এই ইভেন্টটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
- যেভাবে অলিম্পিক দিবসের শুরু
১৮৯৪ সালে আজকের দিনেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) প্রতিষ্ঠা করেন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ। এই কমিটির প্রথম সভাপতি ছিলেন দিমেত্রিওস ভাইকেলাস।
১৯৪৭ সালে চেক আইওসি সদস্য ডক্টর গ্রাস স্টকহোমে কমিটির ৪১ তম অধিবেশনে এই বিশেষ দিনটিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস ঘোষণার প্রস্তাব দেন। পরবর্তিতে ১৯৪৮ সাল থেকেই ২৩ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস হিসেবে পালন করা আরম্ভ হয়। ক্রীড়া-র প্রচার ও তার প্রসার ও নিত্যদিনের জীবনের সঙ্গে এর গুরুত্ব বোঝাতে এই বিশেষ দিনটি বর্তমানে মোট ১৫০টি দেশে পালিত হয়।
- সুস্থ থাকুন, সবল থাকুন।
গত বছর টোকিওতে বসেছিল অলিম্পিকের আসর। সদ্য মহামারির মুখোমুখি হওয়া পৃথিবীতে সেবার এই বিশেষ দিনটির থিম ছিল ‘সুস্থ থাকুন, সবল থাকুন।’ এবারের আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস-২০২২ এর থিম হলো ‘সবাই মিলে, একটি শান্তিময় পৃথিবীর তরে’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর সাথে দুইটি হ্যাশট্যাগ যুক্ত থাকবে। হ্যাশট্যাগ দুটি হলো ‘#মুভ ফর পিস’ এবং ‘#অলিম্পিক ডে’।
২০২২ সালের বিশ্ব অলিম্পিক দিবসসেই শক্তির উপর জোর দিচ্ছে যেখানে খেলাধুলার মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে মানুষকে শান্তির দিকে আনা যায়।