এক ওভারে দুইবার ভারতের ‘পক্ষে’ আম্পায়ারিং!

রোমাঞ্চে পূর্ণ ম্যাচের বিশতম ওভারে দুইবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।

বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজয়ের বেদনা কিছুটা হলেও কমিয়েছে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে তাঁরা। শেষ ম্যাচে ১৬০ রানের মাঝারি মানের পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে ছয় রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা, বিশেষ করে মুকেশ কুমার এবং আর্শ্বদীপ সিং ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন।

তবে তাঁদের পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে আলোচনায় এখন শেষের নাটকীয়তা। রোমাঞ্চে পূর্ণ ম্যাচের বিশতম ওভারে দুইবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল, এবং দুইবারই কমেন্ট্রি বক্স থেকে সরাসরি খোঁচা দিয়েছিলেন সাবেক অজি তারকা ম্যাথু হেইডেন।

প্রথমটা ছিল একেবারে শুরুতেই, ছয় বলে তখন দশ রান প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার। স্ট্রাইকে থাকা ম্যাথু ওয়েডের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় আর্শ্বদীপের বাউন্সার, কিন্তু লেগ আম্পায়ার থাকেন নির্বিকার। প্রায় নিশ্চিত ওয়াইড থেকে বঞ্চিত হয় ক্যাঙারুরা, স্বাভাবিকভাবেই হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি ওয়েড।

আর সেই সময়ে হেইডেন বলেন যে, ‘আপনি দেখতে পাচ্ছেন কেন সে (ওয়েড) বিরক্ত হয়েছে, এটা অবশ্যই একটি ওয়াইড। তাঁর মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে বলটা। তাঁর অবস্থানটাও দেখুন; বলের একদম লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, তারপরও মাথার অনেক উপর দিয়ে গিয়েছে।’

পরের ঘটনাটা পঞ্চম বলের, নাথান এলিসের মারা শট ভারতীয় পেসারের আঙুল ছুঁয়ে আঘাত করে আম্পায়ারের উরুতে। তবে দৌড়ে এক রান নিলেও কোন বোনাস রান পায়নি দলটি; ফলে রাগ আর আটকে রাখতে পারেননি অজি কিংবদন্তি, তিনি বলেন, ‘এই ওভারে আম্পায়াররা দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের কাজ করেছেন। দৃশ্যটা দেখুন সবাই; এবার লেগ আম্পায়ার নন, একেবারে মূল আম্পায়ার। তাঁরা যেন একটা দল হয়ে কাজ করছে।’

যদিও তাঁর এমন মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি ভারতীয়রা। তাঁদের দাবি, আম্পায়ারের গায়ে না লাগলে সর্বোচ্চ দুই রান হতো, জয়ের জন্য কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। অবশ্য ওয়াইড না দেয়াটা ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল, হয়তো সেই সিদ্ধান্ত পক্ষে আসলে ফলাফল অন্যরকম হলেও হতে পারতো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...