বিপিএলের বোলিংয়ে তারুণ্যের দাপট

মাঠ ও মাঠের বাইরের ক্রিকেটে জমে উঠেছে বিপিএল। ঢাকা পর্বের শুরুতে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করা কঠিন হলেও চট্টগ্রাম পর্বে রান হয়েছে বেশ। এখন আবার দলগুলো ঘাঁটি বেঁধেছে সিলেটে। এর মধ্যেই দারুণ কিছু ম্যাচ হয়েছে বিপিএলে। আছে কিছু ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সও। কয়েকজন ব্যাটসম্যান দারুণ কিছু ইনিংস খেলেছেন।

আবার বিদেশিদের উপস্থিতি থাকার পরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বোলার দারুণ করছেন। বিপিএলে স্বাভাবিকভাবেই স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছে বেশি। এছাড়া কয়েকজন পেসারও নিজেদের প্রতিভার জানান দিচ্ছেন। তবে এই তালিকায় আমরা দেখব বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করা তরুণ কয়েকজন বোলারকে।

  • মেহেদী হাসান রানা (ফরচুন বরিশাল)

মেহেদী হাসান রানা এবার খেলছেন বরিশালের হয়ে। দলে সাকিব আল হাসানের মত বোলার আছেন। তবুও ঠিকই নিজে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই পেসার। বাংলাদেশের হয়ে কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। এবারের বিপিএলে প্রথম সুযোগ পেলেন চট্টগ্রাম পর্বে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে।

প্রথম ম্যাচে নেমেই মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। এরপর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ফলে চট্টগ্রামের ব্যাটিং পিচেও ছিলেন দারুণ কার্যকর। ৩ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

  • নাহিদুল ইসলাম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার নাহিদুল ইসলাম। এবার বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দারুণ ফর্মে এই স্পিনার। কুমিল্লার বোলিং আক্রমণ মূলত সাজানো হচ্ছে এই স্পিনারকে কেন্দ্র করেই। কুমিল্লা দলে অনেক নামীদামী তারকা থাকলেও নজরটা কেড়ে নিচ্ছেন এই স্পিনারও।

বিশেষ করে তাঁর ইকোনমি রেট ভীষণ বিস্ময়কর। এই বিপিএলে তাঁর ইকোনমি রেট মাত্র ৪.৫৭। বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৫ রান দিয়েই নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এছাড়া সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ৯ টি উইকেট।

  • মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)

চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলটার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি, যদিও ইনজুরির কারণে সেই আসরের পুরোটা খেলতেই পারেননি।

এবার বিপিএলে সিলেটের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করে বসেন। এরপর বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। যদিও নতুন বলে এখনো বোলিং করার সুযোগ পাননি এই পেসার। তবুও চার ম্যাচ খেলে এই পেসার তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। তাঁর উইকেটর নেওয়ার ক্ষমতা মাত্র অল্প কয়টা ম্যাচেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

  • তানভীর ইসলাম (কুমিল্লা ভক্টোরিয়ান্স)

নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলামের বোলিং জুটি কুমিল্লাকে দারুণ ভাবে এগিয়ে দিচ্ছে। এই দুই স্পিনার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের রান আঁটকে দিচ্ছেন আবার উইকেটও নিচ্ছেন। তানভীরও দলটার বোলিং লাইন আপের বড় শক্তি । এখন পর্যন্ত যে ৫ টি ম্যাচ খেলেছেন তাঁর প্রত্যেকটিতেই উইকেট নিয়েছেন।

বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। এছাড়া ৫ ম্যাচে সবমিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৮ উইকেট। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, তিনি গুরুত্বপূর্ণ সব সময়ে উইকেট নেওয়ার পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link