খ্যাতিমান তারকার অখ্যাত সহোদর

ক্রিকেটের পরিবারতন্ত্র আসলে খুবই প্রচলিত একটা টার্ম। একই পরিবারের একাধিক সদস্য খেলেছেন খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এক সাথে একই পরিবারের একাধিক সদস্য খেলার নজীর পাওয়া যায় প্রচুর।

তবে, সবাই সমপরিমানে খ্যাতি পান না প্রায়শই। বিখ্যাত অনেক ক্রিকেটারের ভাই ক্রিকেট খেলার পরও অনেকেই তাঁদের ব্যাপারে জানেন খুব কম। তেমনই অজানা সব সহোদরদের নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

  • সিকে নায়ডু- সিএস নায়ডু (ভারত)

ভারত জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন সিকে নায়ডু। তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। এরপর তিনি সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ২০৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে বেশ একটা সুখ্যাতি রয়েছে তাঁর।

কিন্তু অনেকেরই হয়ত জানা নেই, তাঁর ভাই সিএস নায়ডুও খেলেছেন ক্রিকেট। তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ম্যাচ খেলেছেন ১১টি। ভাইয়ের অভিষেকের বছর দুই বাদে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। প্রতিপক্ষ যথারীতি ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ১৭৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন সিএস নায়ডু।

  • অ্যালেক বেডসার- এরিক বেডসার (ইংল্যান্ড)

স্যার অ্যালেক বেডসারকে মনে করা হয় সর্বকালের সেরা মিডিয়াম পেসারদের একজন। ‘ন্যাচারাল ইনসুইঙ্গার’ আর ‘লেগ কাটার’-এ পারদর্শী অ্যালেক ৫১ টি টেস্ট খেলে পেয়েছেন ২৩৬ উইকেট, ২৪.৮৯ গড়ে, ১৫টি ফাইভ-ফার এবং ৫টি টেন-ফার সহ। এছাড়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর রয়েছে ৫,৭৩৫ রান ও ১৯২৪ উইকেট (২০.৪১ গড়ে)। ১৯৩৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর খেলেছেন সারের হয়ে।

তবে তারই জমজ ভাই এরিক বেডসার ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহুদূর। তিনি কখনও যুযোগ পাননি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার। কিন্তু ঠিকই ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ছিলেন ভাইয়ের সতীর্থ। ভাইয়ের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন ৪৫৭ ম্যাচ। তবে ভাই অ্যালেক বেডসারের ১৯২৪ উইকেটের বিপরীতে এরিকের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেটের সংখ্যা ছিল ৮৩৩টি।

  • মিনহাজুল আবেদীন নান্নু – নুরুল আবেদীন নোবেল (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপের ম্যাচ জয়ের ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের একজন নিয়মিত মুখ ছিলেন। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা ছাড়াও ডান-হাতি অফ স্পিনটা বেশ ভালভাবেই করতে জানতেন নান্নু। ২৭টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তিনি করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেই সাথে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৩টি উইকেট।

কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠের মতই তাঁর ভাই নুরুল আবেদীন নোবেল ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নোবেল। ব্যাট হাতে খুব একটা সফলতার দেখা পাননি তিনি। তাই হয়ত তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। লিস্ট এ ক্যারিয়ারটাও ছিল বেশ সংক্ষিপ্ত। মাত্র ছয় ম্যাচের ক্যারিয়ার ছিল নুরুল আবেদীন নোবেলের। ভাই যখন দেশের মানুষদের ভরসার প্রতীক তখন নোবেল রয়ে যান পর্দার আড়ালে।

  • শাহিন শাহ আফ্রিদি- রিয়াজ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেটে পেস আক্রমণের সামনের সারিতেই অবস্থান পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেস বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির। ২০২১ সালে টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় প্রথম তিন জনের একজন ছিলেন এই পেস বোলার। এছড়াও পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী শাহিন শাহ আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে ১৮৪ উইকেটের মালিক বনে গেছেন তিনি।

শাহিন আফ্রিদির ভাই রিয়াজ আফ্রিদিও পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। তবে তা একটিমাত্র টেস্ট ম্যাচের জন্য। সেই টেস্ট ম্যাচে সর্বসাকুল্যে তাঁর উইকেট সংখ্যা ছিল দুইটি। সেই পারফরমেন্স তাঁকে জাতীয় দল থেকে ছিটকে দেয়।

তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের নামের পাশে ৩২৮ উইকেটের এক বিশাল অংক নিয়েই শেষে করেছেন নিজের ক্যারিয়ার। ভাইয়ের মত জাতীয় দলের হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। তবে, শাহিন আফ্রিদিকে ক্রিকেটার বানানোর পেছনে বড় অবদান আছে রিয়াজ আফ্রিদির।

  • ব্রেট লি- শেন লি (অস্ট্রেলিয়া)

একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটারদের মূর্তিমান আতংকের নাম ছিল ব্রেট লি। তাঁর বিদ্যুৎ গতির একেকটি বল যেন তোপ থেকে ছোড়া গোলা। সেই সাথে তাঁর সুইং। কাবু না হয়ে ব্যাটার যাবে কোথায়! এমন এক বোলার দীর্ঘকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শাসন করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭১৮টি উইকেট বাগিয়েছেন ডান-হাতি এই পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি ছিলেন সমুজ্জ্বল। পৃথিবীজোড়া সুখ্যাতি ছিল তাঁর এবং তাঁর বোলিং অ্যাকশনের।

তাঁর আগে অবশ্য তাঁর বড় ভাই শেন লি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। অলরাউন্ডার শেন লি ৪৫টি ওয়ানডে ম্যাচে অজিদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ৪৮ উইকেট ছাড়া ৪৭৭ এর মতো রানও করেছিলেন শেন। তবে ছোট ভাইয়ের মত সুখ্যাতি অর্জন করতে পারেননি শেন লি।

  • সৌরভ গাঙ্গুলি- স্নেহাশিস গাঙ্গুলি (ভারত)

ভারত জাতীয় দলকে একটা লম্বা সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার সৌরভ গ্যাঙ্গুলি। মাঠের পারফরমেন্সে যতটা তিনি সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন তাঁর থেকে বেশি সুপরিচিত হয়েছেন লর্ডসের ড্রেসিং রুমের বারান্দায় নিজের জার্সি উড়িয়ে। তাছাড়া ব্যাটার হিসেবেও সৌরভ ছিলেন অনবদ্য। ১৮ হাজারের বেশি রান রয়েছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে। তাছাড়া ৩৮টি সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর।

তাঁর আগে অবশ্য গাঙ্গুলি পরিবারের বড় ছেলে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি নিজেকে আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অঙ্গনে। তবে তা আর হয়ে ওঠেনি। তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের গণ্ডি অবধি। ৫৯ ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন স্নেহাশিস। ব্যাটার স্নেহাশিসের নামের পাশে দুইটি প্রথম শ্রেণির উইকেটও রয়েছে।

  • জো রুট- বিলি রুট (ইংল্যান্ড) 

ইংল্যান্ড জাতীয় টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়ক জো রুট কি এক অসাধারণ বছর কাটালেন ব্যাট হাতে। ২০২১ সালে টেস্টে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন জো রুট। তবে অধিনায়ক হিসেবে সময়টা খুব একটা ভাল কাটেনি রুটের। দল অ্যাশেজ সিরিজ সহ আরো বেশকিছু সিরিজ হেরেছে পুরো বছর জুড়েই। তবে তাতে অবশ্য জো রুটের খ্যাতিতে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও তাঁর প্রতাপ বিদ্যমান।

অন্যদিকে, তাঁর বছর দু’য়েকের ছোট ভাই বিলি রুট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে আসতে পারেনি। এখনও তিনি খেলে যাচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। সেখানে অবশ্য ব্যাট হাতে রান করছেন বিলি। তবে তা জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। ৪৪ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২১৯৩ রান।

  • শাহরিয়ার নাফিস- ইফতেখার নাইম (বাংলাদেশ)

নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন না হলে হয়ত শাহরিয়ার নাফিস হতে পারতেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটারদের একজন। স্বল্প সময় তাঁর ব্যাটিং প্রদর্শনে ভক্তদের মনে প্রত্যাশার বীজ বুনে দিয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। তবে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।

নিজেকে আর মেলে ধরার সুযোগটা পাওয়া হয়নি তাঁর। তবুও ঘরের ভক্তদের কাছে আলাদা খ্যাতি রয়েছে ৭৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও ২৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলা এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের। ২০১৩ সালে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শাহরিয়ার নাফিস এখন কর্মরত আছেন বাংলাদশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)।

শাহরিয়ার নাফিসের ছোটভাই ইফতেখার নাইমও নিজের ক্যারিয়ারটা হয়ত গড়তে চেয়েছিলেন ক্রিকেটে। তবে তাঁর দৌড় থেমে যায় ঘরোয়া ক্রিকেটে। মাত্র ২৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ইফতেখার। এর পর নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা আর দীর্ঘ করতে পারেননি তিনি। রয়ে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। তবে, ইদানিং আমেরিকায় ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টায় আছেন তিনি।

  • মরিস ওদুম্বে – টিটো ওদুম্বে (কেনিয়া)

মরিস ওদুম্বের কেনিয়া তো বটেই নিজের সময়ে পুরো বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। তার ভাই টিটোর সাথে মিলে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গন। যদিও ওদুম্বে পরিবারের আরো পাঁচ ছেলে ক্রিকেট খেলতেন। তথাপি কেবল মরিস এবং টিটোই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পেরেছেন।

মরিস ওদুম্বে ছিলেন কেনিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক। জাতীয় দলের হয়ে প্রায় দেড় হাজারের মত রান করেছেন তিনি। এছাড়া বল হাতেও দারুণ কার্যকরী ছিলেন তিনি, ডান-হাতি অফস্পিনে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। যদিও ২০০৪ সালে বাজিকরদের কাছে থেকে অর্থ নেবার অভিযোগে আইসিসি তাকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০০৯ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে কেনিয়া জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

অন্যদিকে, টিটো ওদুম্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন মোটে এক বছর। ১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেন।

  • ইয়ান চ্যাপেল- গ্রেগ চ্যাপেল- ট্রেভর চ্যাপেল (অস্ট্রেলিয়া) 

চ্যাপেল পরিবারের তিন পুত্র সার্ভিস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে। প্রথমে বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেল, এরপর তাঁর ছোটজন গ্রেগ চ্যাপেল ও শেষের সবার ছোট ট্রেভর চ্যাপেল গায়ে জড়িয়েছিলেন অজিদের জার্সি। ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল নিজেদের ক্যারিয়ারটা সমৃদ্ধ করেছিলেন রান দিয়ে। দুইজনই ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটার। ইয়ান চ্যাপেলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোট রান ৬০১৮। অন্যদিকে, গ্রেগ চ্যাপেল করেছেন ৯৪৪১ রান।

তবে এই দুই ভাইয়ের অর্জনের মাঝে ছোট ভাই ট্রেভর চ্যাপেল বড্ড বেশি ফিঁকে। তাঁর ক্যারিয়ারে বলার মত তেমন কিছুই নেই। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ম্যাচ খেলেছেন কেবল ২৩টি। সেই ২৩ ম্যাচ তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩০৮ রান আর ১৯ উইকেট। ভাইদের মত নিজেকে ক্রিকেট ইতিহাসের আলোকিত নক্ষত্রে পরিণত করতে ব্যর্থ হন ট্রেভর চ্যাপেল।

  • স্টিভ টিকোলো- ডেভিড টিকোলো- টম টিকোলো (কেনিয়া)

কেনিয়া ক্রিকেটে এক সময়ে ছিল নিয়মিত মুখ। তবে পারফরমেন্সে অধারাবাহিকতায় আজকাল আর তাঁদের দেখা মেলে না বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টেও। হারিয়ে যাওয়া কেনিয়ার অন্যতম তারকা ক্রিকেটার ছিলেন স্টিভ টিকোলো। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি ১৫০ ম্যাচ খেলেছেন। অলরাউন্ডার স্টিভ প্রায় তিন হাজার ৭০০ রানের পাশাপাশি ১০৬টি উইকেটও নিয়েছিলেন।

তবে তাঁর দুই সহোদর ডেভিড টিকোলো ও টম টিকোলো ক্রিকেটে খুব একটা সুনাম কুড়াতে কিংবা নজর কাড়া পারফরমেন্স করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ডেভিড তিনটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও, টম রয়ে গিয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের গণ্ডি অবধি। সেখানেও মোটে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন টম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link