প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। বোলারদের জন্য চরম আরাধ্যের উইকেট। বিরাট কোহলি নামটা যেমন অনুপ্রেরণার, ঠিক তেমনি বিশ্বজুড়ে বিপক্ষ দলের বোলারদের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্বপ্নই থাকে বিরাট কোহলিকে আউট করার।
শুধু, কোহলি নয় বর্তমান প্রজন্মের বোলারদের স্বপ্নের শিকারের তালিকায় এখন থাকে বাবর আজমের নামও। পাকিস্তান পেসার হারিস রউফের স্বপ্নের শিকারের তালিকায়ও ছিল এই দুই ব্যাটারের নাম। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্বদেশী বাবর আজমকে আউট করার পর হারিসের এখন লক্ষ্য বিরাট কোহলির উইকেট।
চলমান পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে বেশ ভালো ফর্মে আছেন হারিস রউফ। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে হাই স্কোরিং ম্যাচেও ৩৫ রানে দুই উইকেট নেন রউফ। এই দুই উইকেটের প্রথমটি ছিলেন বাবর আজম। বাবরকে আউট করে পেশোয়ারের ১০৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন হারিস।
এই প্রথম পাকিস্তান অধিনায়কের উইকেট পেলেন হারিস রউফ। এর আগে নিজের স্বপ্নের উইকেটের তালিকার কথা জানাতে গিয়ে হারিস জানিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়কও আছেন তাঁর সেই ‘বাকেট লিস্ট’-এ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লাহোর একটি ভিডিও শেয়ার করে লাহোর কালান্দার্স। সেখানে বাবর আজম আর হারিস রউফের মজার কিছু কথোপকথন উঠে আসে।
সেই ভিডিওতে হারিস বাবরকে বলেন, ‘যা কিছুই হয়ে যাক না কেন আমি শুধুমাত্র তোমাদের দুইজনের উইকেট পেতে চাই। এখন পর্যন্ত তুমি আর কোহলিই বাকি আছো। দুইবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও উইলিয়ামসন বেঁচে গেছে। কিন্তু এই ৩-৪ জন খেলোয়াড়কে আমি আমার লিস্টে রেখেছি।’
হারিসের কথা শুনে বাবর বলেছিলেন, ‘কিন্তু তুমি আমাকে ইতোমধ্যেই অনুশীলনে আউট করেছ ৷ সেগুলো কেন তুমি বিবেচনা করছ না?’ বাবরের কথা শুনে রউফ হেসে উত্তর দেন, ‘না। ম্যাচে তোমার উইকেট নিতে চাই আমি।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই বিরাট কোহলির মুখোমুখি হয়েছিলেন হারিস রউফ। কিন্তু সেই লড়াইয়ে জয়ী বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের করা ১৬০ রান তাড়া করছিল ভারত। ১৯ তম ওভারে তখন মুখোমুখি বিরাট ও হারিস।
ওভারের শেষ দুই বলে অতি মানবীয় দুটি শটে ছক্কা হাঁকান বিরাট। আর সেই ছক্কা দুটিই ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেয় ভারতের পক্ষে। ৫৩ বলে ৮২ রান করে ভারকে সেই ম্যাচ জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন কোহলি। সেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন বিরাট।
অবিশ্বাস্য সেই দুটি শটের প্রসংশা করেছিলেন হারিস রউফও। তবে পরের বার মুখোমুখি হলে কোহলি আর তেমন শট খেলতে পারেবন না বলেও মনে করেন হারিস।
এই পেসার বলেন, ‘যারা ক্রিকেট বোঝে তারা জানে সে কি ধরণের খেলোয়াড়। আমি মনে করি না সেই সেই কাজ আবার করতে পারবে। ওই শট গুলো অনেকটাই আলাদা। আপনি প্রতিবারই এমন শট খেলতে পারবেন না। তাঁর টাইমিং ছিল একদম নিখুঁত এবং সে কারণেই সেটি ছক্কা হয়েছিল।’