বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) – এর মান নিয়ে যত লোকে কত কথাই বলুক না কেন, বাস্তবতা হল – এটাই বাংলাদেশের প্রধান ও একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর। ফলে, সেই আসরের ড্রাফট নিয়ে আলোচনা হবেই।
সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির সবাই পরিকল্পনামত গুছিয়ে নিয়েছেন নিজেদের দল। তবে তাঁদের আগ্রহের তালিকায় ছিল না একাধিক পরিচিত নাম।
- সাব্বির রহমান
বিপিএলের ড্রাফট শেষে সবচেয়ে চমক ছিল সাব্বির রহমানের দল না পাওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে না থাকলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাব্বিরকে আলাদা চোখেই দেখা হতো, কিন্তু এবার কেউই চায়নি ‘ই’ ক্যাটাগরির এই ক্রিকেটারকে।
২০১৬ সালে রাজশাহী কিংসের জার্সিতে তাঁর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এখনো চোখে ভাসে ভক্তদের। অথচ দেশের সেই একই টুর্নামেন্টে তিনি এখন ব্রাত্য।
- মুমিনুল হক
দল না পাওয়াতে সাব্বির রহমান হয়তো নিজেকে দোষ দিতে পারেন, কিন্তু মুমিনুল হক স্রেফ দুর্ভাগ্যের শিকার। সত্যি বলতে সাদা বলের ক্রিকেটে মুমিনুল একটু পিছিয়ে। তবে বিপিএলের দল পাওয়ার মত সামর্থ্য নিশ্চয়ই তাঁর রয়েছে।
গত আসরেও ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে।
- মোহাম্মদ আশরাফুল
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম ড্রাফটে থাকলেও কোন দলই তাঁকে ডাকেনি। একসময়ের মাঠ কাঁপানো এই তারকা নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর থেকে অবশ্য তেমন আহামরি পারফর্ম করতে পারেননি।
সেজন্যই সম্ভবত বিপিএলে দল পেলেন না অ্যাশ। গত আসরেও অবশ্য মাঠে নামা হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারের শেষ বেলাতেই পৌঁছে গেছেন আশার ফুল।
- মুনিম শাহরিয়ার
খালেদ মাহমুদ সুজনের হাত ধরে বিপিএলে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল মুনিম শাহরিয়ারের। ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা অভিষেক মৌসুমেই বাজিমাত করেন তিনি।
হার্ডহিটিং ব্যাটিংয়ের কল্যাণে পৌঁছে যান জাতীয় দলেও। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে ছন্দ হারান তিনি, সেটারই ধারাবাহিকতায় এবার কেউই স্কোয়াডে ভেড়ায়নি মুনিমকে।
- আবু জায়েদ রাহি
বছর দুয়েক আগেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের অংশ ছিলেন আবু জায়েদ রাহি। টেস্ট ফরম্যাটে দেশের ফ্রন্টলাইন পেসারদের একজন তো ছিলেন, সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ডানহাতি এই পেসারের ভাগ্যে মেলেনি ২০২৩/২৪ মৌসুমের বিপিএলের কোন দল।
- আমিনুল ইসলাম বিপ্লব
লেগ স্পিনার নিয়ে এত আক্ষেপ বাংলাদেশের তবু ক্রিকেট দুনিয়ায় লেগিদের অবহেলা করাই যেন স্বাভাবিক। এই যেমন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে স্কোয়াডে নেয়নি কোন ফ্রাঞ্চাইজি।
যদিও লেগ স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও আয়ত্তে আছে এই তরুণের। এমনকি জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে বিপ্লবের, কিন্তু এতকিছুর পরেও বিপিএল খেলা হচ্ছে না তাঁর।
একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে আরেক বর্ষীয়ান লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনকেও। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার আনিসুল ইমন, সানজামুল ইসলামও বঞ্চিত হয়েছেন বিপিএল থেকে।