নয়া ভারতের নয়া অধিনায়কের দৌড়

করোনা ভাইরাসের থাবায় মাঝপথে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেমে গেলেও ভারতের ক্রিকেটারদের সামনে এখন ব্যস্ত সূচি। তবে, ভারতীয় ক্রিকেট কিন্তু থেমে নেই।

টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনাল, শ্রীলঙ্কা সফর, ইংল্যান্ড সফর এবং তারপরেই আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফলে টানা খেলা থেকে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়ার জন্য ভারত বেঁছে নিয়েছে নয়া ফর্মুলা। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ঘোষণা করেছে ভিন্ন দুইটি দল।

ইংল্যান্ডে নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলির নেতৃত্বেই টেস্ট খেলতে যাবে দলটি। ওদিকে শ্রীলঙ্কায় রঙিন পোষাকের ক্রিকেটের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারকে। তবে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে শ্রেয়াস ইনজুরি কাঁটিয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা বলেন,’ শ্রীলঙ্কা সফরের আগে শ্রেয়াস পুরোপরি ফিট হবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। এই ধরনের অপারেশনের পর সাধারনত চার মাস সময় দরকার হয় ম্যাচ খেলার মত অবস্থায় আসতে।’

ভারতের অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। অধিনায়কত্বের এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। অভিজ্ঞ শিখর ধাওয়ান ওপেনিং দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ শুরু। এদিকে অপেক্ষাকৃত তরুণ হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের ম্যাচ উইনার। ব্যাট-বল দুই ডিপার্টমেন্টেই বেশ কার্য্যকর এই ক্রিকেটার।

ধাওয়ানের অধিনায়কত্ব নিয়ে এক কর্মকর্তা দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘শিখর ভালো দুইট আইপিএল মৌসুম কাটিয়েছেন। তাছাড়া দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একজন তিনি। গত আট বছর ধরে ভারতের জন্য পারফর্ম করে যাচ্ছেন নিয়মিত। ফলে অধিনায়ক হওয়ার জোর দাবিদার তিনি।’

ওদিকে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের ম্যাচ উইনার পান্ডিয়াকেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। পান্ডিয়ার ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হার্ডিক এখন মুম্বাই বা ভারতের হয়ে নিয়মিত বোলিং করতে পারছেনা। তবুও সে ভারত দলের এক্স ফ্যাক্টর। তাঁকে অধিনায়কত্ব দেয়া হলে সেই দায়িত্ববোধ তাঁকে আরো ভালো পারপফর্ম করতে সহায়তা করতে পারে।’

যদিও সম্প্রতি পিঠের ইনজুরি কারণে নিয়মিত বোলিং করতে পারছেন না হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর পিঠের অপারেশন হবার পর নিয়মিত ১৩৫ গতিতে বোলিং করাটা কঠিন। ফলে তাঁর বোলিং এর গতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে এবং খুব বেশি বোলিং করানোও বোধহয় সম্ভব হবেনা।

এই বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পিঠের অপারেশনের পর তিনি আর আগেই সেই বোলার নেই। তাঁর বোলিং এ অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া বেশি ওভার বল করাও তাঁর জন্য কঠিন। তাই পান্ডিয়া বোলিং এরচেয়ে বেশি এখন  তাঁর ব্যাটিং এই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। ভারতের হয়ে শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলাই এখন তাঁর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

সবমিলিয়ে দুজনই ভারতের ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার। অভিজ্ঞতা কথা ভাবলে হয়তো শিখর ধাওয়ানের কাছেই আসতে পারে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। তবে অপেক্ষাকৃত তারুণ্য নির্ভর দলের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াও হতে পারেন ভালো অধিনায়ক।

তবে, আদতে অধিনায়কের দৌঁড় দিয়ে আদতে কোনো আলোচনারই অবকাশ থাকে না – যদি রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে পাঠিয়ে দেওয়া হত শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি আছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দলে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link