দ্য ওভালে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দুই দিনের খেলা শেষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। এমন সিদ্ধান্তই ভারতে জন্য হতাশার। একই সাথে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত ভুল বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
ওভালের পিচে রান করা সহজ নয়। পিচ ছিল সবুজ ঘাসে ঘেরা। পাশাপাশি ম্যাচটি ডিউক বলে। এসব চিন্তা করেই সম্ভবত প্রথমে বোলিং করার চিন্তা করেছে ম্যানেজম্যান্ট। ফলে পেসারদের ওপর বাড়তি আশা করতে হয়েছে। এই আশা করতে গিয়ে অশ্বিনের জায়গা হয়নি একাদশে।
ভারতীয় পেসাররা ভরসার প্রতিদান দিয়েছে ৮ উইকেট নিয়ে। বাকি দুই উইকেটের মধ্যে রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ১টি। আর একটি ছিল রান আউট।
ভারত টেস্টে সাধারণত টস জিতলে ব্যাটিং করে। আগের ৩৪ টস জেতা ম্যাচে তেমনটিই করেছে দলটি। কিন্তু এই ফাইনালে কেন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ড্যামিয়েন ফ্লেমিং। ‘ভারত কি নিজেদের ছাড়িয়ে গেছে’ এমন প্রশ্নও করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার।
পেসারদের দিয়ে ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করার পরিকল্পনা করেছিল। শুরুতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছিল। তবে মাঝের সময় অজি ব্যাটারদের দাপট ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয়দের পরিকল্পনা। ম্যাচের এই সময়ে প্রয়োজন ছিল অশ্বিনের। একই সাথে ব্যাট হাতে দিতে পারতেন বিপদ সামাল।
দুই পেসার শার্দুল ঠাকুর বা উমেশ যাদবের জায়গায় প্রয়োজন ছিল অশ্বিনের। প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য যাদব। ঠাকুর দুই উইকেট পেলেও ভয় ধরাতে পারেনি প্রতিপক্ষের বুকে। আইপিএলের মত এই ম্যাচে ‘ইমপ্যাক্ট’ খেলোয়াড় নিয়ম থাকলে নিশ্চয়ই একাদশে যোগ করা হতো অশ্বিনকে।
টিম কম্বিনেশনের কারণে দলে জায়গা পাননি অশ্বিন। তবে ভারতের সম্ভবত মনে রাখা উচিত ছিল দুনিয়ার অন্যতম সেরা ক্রিকেট বিশ্লেষক এই স্পিনার। জাদেজা-অশ্বিন জুটি বড় মঞ্চে যে কোন দলের জন্য বাড়তি চিন্তা হতে পারে।
ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার পরিকল্পনা করেছে। যদিও ব্যাটিং গভীরতায় পিছিয়ে রয়েছে দলটি। নাম্বার জয়ে ব্যাট করছেন কেএস ভরত। এরপরই দলের পুরো চাপ জাদেজার কাঁধে।
বোলিং সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজিমাত করতে পারেনি ভারত। প্রথমদিনের শুরুর দিক বাদ দিলে বাকি দিনটা অস্ট্রেলিয়ার রাজত্বে। ব্যাটিংয়েও করতে পারছে না সুবিধা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩১৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। তৃতীয় দিনেই অলআউট হওয়াটাই দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক হিসেবে।
টানা দ্বিতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলছে ভারত। অপরদিকে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া। বছরের শুরুর দিকে এই দলের বিপক্ষে সিরিজও জিতেছিল দলটি। তবুও ফাইনাল ম্যাচের স্নায়ুচাপে প্রায় আটক অবস্থা রোহিত-কোহলিদের।