Social Media

Light
Dark

রাইস ও গ্রেলিশ তবে বিশ্বাসঘাতক!

প্রশ্ন জেগেছে নিশ্চয়ই, কেন রাইস ও গ্রেলিশকে সাপ বলা হচ্ছে? 

একটা ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে দেখছেন নিশ্চয়ই। একপাশে ডেকলান রাইস, অন্যপাশে জ্যাক গ্রেলিশ। ব্যানারে ইংরেজিতে লেখা ‘দ্য স্নেকস আর ব্যাক’। অর্থাৎ সাপেরা ফিরে এসেছে। প্রশ্ন জেগেছে নিশ্চয়ই, কেন রাইস ও গ্রেলিশকে সাপ বলা হচ্ছে?

ঘটনাটা খুবই সহজ। সাপ সাধারণত ব্যবহৃত হয় বিশ্বাসঘাতকদের প্রতীক হিসেবে। ডেকলান রাইস আর জ্যাক গ্রেলিশ কাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, সে প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক। সে প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আয়ারল্যান্ডের সাথে। না, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে এই দুইজন গোল করেছেন বলেই বিশ্বাসঘাতকতার ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়নি। ঘটনার গভীরতা রয়েছে বটে।

ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রেলিশ, তাঁরা দুইজনই একটা সময় আয়ারল্যান্ডের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। তাছাড়া পারিবারিক সূত্রে তারা দু’জনই ছিলেন আইরিশ। আয়ারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন রাইস ও গ্রেলিশ। আয়ারল্যান্ডের মাটিতেই ফুটবলার সত্ত্বার বিকাশ ঘটান এই দুই ইংলিশ তারকা।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার। এজন্য অবশ্য ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্কৃতি আর বিপুল অর্থের ঝনঝনানি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। তাছাড়া অর্জনের রাস্তা সহজ হবে- সে মতাদর্শ থেকেও হয়ত রাইস ও গ্রেলিশ ইংল্যান্ডকেই বেছে নিয়েছিলেন।

এই বিষয়ে নিঃসন্দেহে কোন সংকোচ নেই যে রাইস ও গ্রেলিশ তারা দুইজনে এই সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এমন দুইজন খেলোয়াড় আয়ারল্যান্ড দলে থাকলে হয়ত আইরিশ ফুটবলের অর্জনে অবদান রাখতে পারতেন। ভক্তরা হয়ত সে আশাতেই বুক বেঁধেছিল। কিন্তু তাদের স্বপ্নকে প্রাধান্য না দিয়ে রাইস ও গ্রেলিশ প্রাধান্য দিয়েছিলেন নিজেদের ল্যাভিশ জীবনযাপনকে। সে কারণেই মূলত তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন আয়ারল্যান্ডের ফুটবল ভক্তরা।

নেশন্স লিগে আয়ারল্যান্ডের ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। আর ইংল্যান্ড দলে ছিলেন রাইস ও গ্রেলিশ। ঠিক সে কারণেই তাদেরকে শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি। তবে সেই দুয়োধ্বনি-তে দমে যাননি এই দুই ফুটবলার। ইংল্যান্ডের জয়ে অবদান রেখেছেন তারা দুইজনে। তাদের দুইজনের গোলে ২-০ গোল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।

Share via
Copy link