ম্লান হওয়া বিশ্বকাপ স্বপ্ন

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির বয়স ১৬ বছর হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি বাংলাদেশের! ব্যাপারটা বিস্ময়কর হলেও সত্যিই। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশি ক্রিকেটারসহ সমর্থকদের জন্য বিশেষ কিছুই। তবে সেই ম্যাচটা স্মরণীয় তো দূর নূন্যতম লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। আর তাতে বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির বয়স ১৬ বছর হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি বাংলাদেশের! ব্যাপারটা বিস্ময়কর হলেও সত্যিই। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশি ক্রিকেটারসহ সমর্থকদের জন্য বিশেষ কিছুই। তবে সেই ম্যাচটা স্মরণীয় তো দূর নূন্যতম লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। আর তাতে বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।

১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলারের ব্যাটে দারুন শুরু পায় ইংলিশরা। দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতেই যোগ করেন ৩৯ রান। এরপর দলীয় ৩৯ রানে নাসুমে বলে ব্যক্তিগত ১৮ বলে ১৮ রানে আউট হন বাটলার। বাকি পথটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য শুধুই হতাশার। জেসন রয়ের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে নাসুম, মেহেদিরা।

রয় ও ডেভিড মালানের ব্যাটে বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিচ্ছিলো ইংলিশরা। জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকতে ৩৮ বলে ৬৩ রানে আউট হন রয়। বাকি কাজটা সহজেই সেরে ফেলেন বেয়ারস্টো ও মালান। দু’জনের ব্যাটে ৩৫ বলে বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।

আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শুরুতেই মঈন আলির ওভারে পর পর দুই বলে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। বরাবরের মতোই এদিনও ব্যর্থ লিটন দাস। নাইম শেখও ফেরেন দ্রুতই! এরপর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও টাইমাল মিলসের বলে আদিল রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন সাকিব। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন বাংলাদেশ।

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকের ব্যাটে ৩৭ রানের জুটি গড়লেও লিভিংস্টোনের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট মুশফিক! এরপর ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন আফিফও। এক ওভারের ব্যবধানে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট রিয়াদ! ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে তখন বাংলাদেশ দল। দুই বাউন্ডারিতে আশা দেখালেও বাকিদের সাথে আসা যাওয়ার সারথী হন মেহেদিও!

৯৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দলের বাকি তখন মাত্র তিন ওভার। ইনিংসে একটি ছক্কাও মারতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ১৯ তম ওভারে আদিল রশিদের বলে দুই ছক্কা হাঁকান নাসুম আহমেদ! মূর্ছে পড়া বাংলাদেশকে এনে দেন লড়াই করার মতোন পুঁজিও। নাসুমের অপরাজিত ৯ বলে ১৯ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১২৪/৯ (২০ ওভার); মাহমুদউল্লাহ ১৯(২৪), মুশফিক ২৯(৩০), নাসুম ১৯(৯)*; টাইমাল মিলস ৪-০-২৭-৩, মঈন ৩-০-১৮-২, লিভিংস্টোন ৩-০-১৫-২।

ইংল্যান্ড – ১২৬/২ (১৪ ওভার); জেসন রয় ৬৩(৩৮), মালান ২৮(২৫), বাটলার ১৮(১৮); শরিফুল ৩.১-০-২৬-১, নাসুম ৩-০-২৬-১।

ফলাফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: জেসন রয় (ইংল্যান্ড)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...