স্ফুলিঙ্গে আলোকিত বিশ্বকাপ

ক্রিকেট ইতিহাসে ১৬ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। যদিও এমন কীর্তি গড়ার দিনে ব্যাট হাতে তেমন সফল হতে পারেননি আয়ান। ৭ বলে করেন ৫ রান।

বয়সে কৈশোর পার হয়নি। তাতেই বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। এমন সুযোগ ক’জনের ভাগ্যেই বা থাকে। যে বয়সে স্থানীয় মাঠেই ক্রিকেট দীক্ষা নিতেই ব্যস্ত থাকার কথা সে বয়সেই বহু ক্রিকেটার খেলেছেন জাতীয় দলে। এমনকি কৈশোর না পেরোনো কিছু ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। মূলত তাদের নিয়েই খেলা ৭১ এর আজকের আয়োজন।  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ তারকাদের নিয়ে চলুন একটু আডডা দেওয়া যাক। 

  • আয়ান আফজাল খান (সংযুক্ত আরব আমিরাত)- ১৬ বছর ৩৩৫ দিন

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুর দিনেই সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার কীর্তি গড়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয়ান আফজাল খান। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসে ১৬ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। যদিও এমন কীর্তি গড়ার দিনে ব্যাট হাতে তেমন সফল হতে পারেননি আয়ান। ৭ বলে করেন ৫ রান। তবে বল হাতে ১৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। কিন্তু দিনশেষে দলগত ফলাফলে পরাজয়েরই স্বাদ নিতে হয়েছে তাঁকে। 

  • মোহাম্মদ আমির(পাকিস্তান)- ১৭ বছর ৫৫ দিন

আয়ান আফজাল খানের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের তকমাটা ছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এ কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। তবে ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে বেশ বিবর্ণই ছিলেন আমির। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানও সে ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ৪৮ রানে । তবে সেই ব্যর্থতা ভুলে সেবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঘরেই গিয়েছিল। সেদিক দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হচ্ছেন মোহাম্মদ আমির। তাঁর সে রেকর্ড এখনো অক্ষতই আছে। 

  • রশিদ খান (আফগানিস্তান)- ১৭ বছর ১৭০ দিন

আফগান ক্রিকেটে রশিদ খানের আবির্ভাব হয়েছিল প্রবল সম্ভাবনা নিয়ে। সময়ের সাথে সে সব সম্ভাবনা ছাপিয়ে রশিদ খান এখন বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যরকম এক সেনসেশনে পরিণত হয়েছেন। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা। আর সে বিশ্বকাপেই সর্বকনিষ্ঠ আফগান ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয় রশিদ খানের। গ্রুপ পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ১৭০ দিন। 

  • আহমেদ শেহজাদ (পাকিস্তান)- ১৭ বছর ১৯৬ দিন

যে ম্যাচ দিয়ে মোহাম্মদ আমির বিশ্বকাপ খেলা সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছিলেন সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয় আহমেদ শেহজাদের। তবে সে ম্যাচ খেলার সময় শেহজাদ নিজেও আঠারো না পেরোনো এক কিশোর ছিলেন। সে ম্যাচ খেলার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ১৯৬ দিন। 

  • জর্জ ডকরেল (আয়ারল্যান্ড)- ১৭ বছর ২৮২ দিন

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড তাঁর। ২০১০ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেন ডকরেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া সে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় আয়ারল্যান্ড। আর সে ম্যাচেই সর্বকনিষ্ঠ আইরিশ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়েন জর্জ ডকরেল। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই দারুণ বোলিং করেছিলেন ডকরেল। ১৬  রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হেরেছিল আইরিশরাই।  

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...