কথায় আছে, ভয়ের পরেই আসে জয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইউনুস খান অনেকটা এই সূত্রই মেনে কাজ করতে বললেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। তিনি জানালেন পাকিস্তানের উচিত নিয়মিত ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলা। তবেই বিশ্বকাপে চাপের মুখে পড়তে হবে না তাঁদের।
এক সপ্তাহের মাঝেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এবারের বিশ্বকাপে একই গ্রুপে আছে ভারত-পাকিস্তান। তবে ভৌগলিক উত্তেজনার কারণে এই দুই দেশের মাঝে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয় না বললেই চলে। যার ফলে বিশ্ব আসরে পস্পরের মুখোমুখি হতে উভয় দলেরই খানিকটা চাপে থাকতে হয়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৯ জুন ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। তাইতো উত্তেজনা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে মানসিক চাপ।
ইউনুস খান জানান যে নিয়মিত সিরিজ বিশ্বকাপ ম্যাচের চাপ কমিয়ে দেবে এবং উভয় পক্ষের জন্য আরও বেশি বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করবে। তিনি বলেন, ‘ভারত বনাম পাকিস্তান সব সময়ই উত্তেজনাপূর্ণ হয়। যদিও পরিসংখ্যানে একটি দল এগিয়ে থাকে। কিন্তু এই ম্যাচটি কেবল দক্ষতার জন্য নয়; এই ম্যাচ আপনার স্নায়ু পরীক্ষা করে। তাই আমি বিশ্বাস করি যে দল তাদের স্নায়ুকে আরও ভালভাবে ধরে রাখতে পারে, ম্যাচে জয় তাদেরই হবে।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা সব সময় ভারত বনাম পাকিস্তান সিরিজের পক্ষে কথা বলেছে। আমাদের আরও বেশি দ্বি-পাক্ষিক খেলতে হবে, শুধু আইসিসি ইভেন্টগুলিতে নয়। কারণ আমরা একবার একে অপরের সাথে নিয়মিত খেলতে শুরু করলে, এটি খেলোয়াড়দের খেলার মানসিক চাপও সরিয়ে দেবে।
দলের বর্তমান কম্বিনেশন নিয়ে সাবেক এই ক্রিকেটার আরো বলেন, ‘বর্তমান কম্বিনেশন খুবই ভালো আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে পাকিস্তান দল দক্ষতা এবং বৈচিত্রতায় পূর্ণ। দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে যারা যেকোন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতাতে সক্ষমতা রাখে।’
বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজমকে সম্বোধন করে, ইউনুস তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার কৌশল এবং দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘বাবর আজম একজন শীর্ষ মানের খেলোয়াড়। তাকে অবশ্যই সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাঁকে কেবল তাঁর নিজের পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ দিলে হবে না, তাঁর দলের সেরাটাও বের করতে হবে। আপনি যখন অধিনায়ক হন, তখন এটি কেবল আপনার নিজের পারফরম্যান্সের জন্য নয়; আপনাকে অন্যান্য খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর দিতে হবে। আমি বাবরকে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হতে এবং পাকিস্তানের হয়ে ট্রফি জিততে দেখতে চাই।’
বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের একটি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। তাই সেই ম্যাচগুলোতেই নিজেদের দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আসন্ন বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পাবে বাবর আজমের দল।